Copyright Doctor TV - All right reserved
চার বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। গত ১৮ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরে ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৪১ শিশুর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। সিরাপের প্রভাবে ভারতেও কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কাশির সিরাপ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিল ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিদেশে কফ সিরাপ রপ্তানির আগে সরকারি ল্যাবরেটরিতে সিরাপের মান পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে ভারত। গত বছর গাম্বিয়া ও উজবেকিস্তানে ভারতীয় কফ সিরাপ সেবনের পর শতাধিক শিশুর মৃত্যুর জেরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আগামী ১ জুন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
ভারতে তৈরি আরও একটি কাশির সিরাপে দূষণ পাওয়ায় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সিরাপটি গ্রহণের ফলে কেউ অসুস্থ হয়েছে কিনা, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। সিরাপটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং মাইক্রোনেশিয়ায়ও পাওয়া যাচ্ছে।
গাম্বিয়া ও উজবেকিস্তানে সিরাপ সেবনে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতের ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের দুই পরিচালককে খুঁজছে দেশটির পুলিশ।
নতুন করে ভারতে তৈরি দুটি কাশির সিরাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও। উজবেকিস্তানে ১৯ শিশু মৃত্যুর ঘটনার জেরে ভারতীয় নয়ডাভিত্তিক কোম্পানি ম্যারিওন বায়োটেকের তৈরি দুটি কাশির সিরাপ আপাতত না দিতে বলছে সংস্থাটি।
গাম্বিয়ার পর উজবেকিস্তানের কর্তৃপক্ষও ভারতে বানানো সিরাপে অন্তত ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। মধ্য এশিয়ার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের বানানো সিরাপ খেয়ে তাদের শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
গাম্বিয়ায় ৭০ শিশুর মৃত্যুর জন্য ভারতীয় সিরাপকে দায়ী করে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কিডনি ও ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় ফেলতে পারে এমন শঙ্কা থেকে বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠানের ১২টি সিরাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি চারটি সর্দিকাশির সিরাপ দায়ী এসব মৃত্যুর জন্য।
ইন্দোনেশিয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মারাত্মক কিডনি জটিলতায় (একেআই) ৯৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বাড়ায় বিশেষজ্ঞদের একটি দল তদন্ত শুরু করেছে।
আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত কফ সিরাপের উৎপাদন বন্ধ রাখার জন্য ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে গাম্বিয়া ও ভারত। খবর এনডিটিভির।
মাঠ পর্যায়ে থেকে নেওয়া নাপা সিরাপের নমুনা সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নাপা সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ...