ভারতীয় সিরাপে ৬৬ শিশুর মৃত্যু, গাম্বিয়ায় তদন্ত শুরু

অনলাইন ডেস্ক
2022-10-07 12:45:45
ভারতীয় সিরাপে ৬৬ শিশুর মৃত্যু, গাম্বিয়ায় তদন্ত শুরু

চার কাশির সিরাপের নমুনা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে

ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে গাম্বিয়া ও ভারত। খবর এনডিটিভির।

সম্প্রতি গাম্বিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কিডনি বিকল হয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত এসব শিশুর বয়স ৫ বছরের মধ্যে। গাম্বিয়ায় প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এসব শিশুর মৃত্যুর জন্য মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের চারটি কাশির সিরাপ দায়ী। এগুলো হলো- প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন বিপি, কফিক্সমেলিন বেবি কফ সিরাপ, ম্যাকফ বেবি সিরাপ ও ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ।

চারটি সিরাপ পরীক্ষা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউেএইচও)। সেই পরীক্ষার মূল্যায়নে বলা হয়েছে, সিরাপগুলোতে ডাইথিলিন গ্রাইকল ও এথিলিন গ্লাইকল নামে দুটি রাসায়নিক উপাদনের অস্বাভাবিক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘পৃথিবীর ফার্মেসি’ বলে যে বৈশ্বিক ভাবমূর্তি ভারতের রয়েছে, তাকে কালিমালিপ্ত করেছে এই চার সিরাপ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল্যায়নের পর গাম্বিয়ায় শুরু হয়েছে তদন্ত। দেশটিতে এরইমধ্যে এই সিরাপ শিশুদের না খাওয়াতে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দোকান ও বাসাবাড়ি থেকে এসব সিরাপ জব্দ করা হচ্ছে, নেওয়া হচ্ছে শিশুদের কফের নমুনা।

ভারতেও তদন্ত শুরু হয়েছে। মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালের মূল কারখানা ও সদরদপ্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বৃহস্পতিবার সংবাদিকদের বলেন, ওই চার কাশির সিরাপের নমুনা দিল্লিতে কেন্দ্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এসব নমুনায় কোনো গণ্ডগোল পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মন্ত্রণালয়ের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, কেন্দ্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারেও এসব সিরাপের বিপণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় বলেছে, গাম্বিয়ার সিরাপ ভারতের বাজার থেকে বিক্রি হয়নি। এগুলো রপ্তানির জন্যই তৈরি করেছে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস।

মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক নরেশ কুমার গয়াল বলেন, আমরা আজকেই শুনলাম এই ঘটনা। তারপর থেকেই কোম্পানির যাবতীয় ওষুধের বিপণন বন্ধ আছে। পাশাপাশি কোম্পানি থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও দেখুন: