Copyright Doctor TV - All right reserved
অনিরাময় যোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা ক্যান্সার সার্ভাইভাররা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় দেখেছি যে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি একেবারেই অবহেলিত ও উপেক্ষিত। ক্যান্সার সেবা কেন্দ্রগুলোতে নির্দিষ্ট কোনো ক্যান্সার কাউন্সিলর নেই। মূলত চিকিৎসকগণই কিছু অভয় দেন, যেটাকে কাউন্সিলিং বলা হয়।
চিকিৎসা একটি সমন্বিত কার্যক্রম। যদি চিকিৎসা দেওয়ার কোনকিছুর ঘাটতি থাকে তাহলে চিকিৎসা প্রদান বাধাগ্রস্ত হয়। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও মুমূর্ষু ডা. তপন মণ্ডলের প্রাথমিক চিকিৎসায় এরূপ ঘাটতির কারণে সম্ভাবনাময় জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা যায়নি বলে সে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছে।
জুনিয়রদের জন্য, প্রফ অন্যরকম জিনিস। যখন মেডিকেলে আসবা সবকিছুর সাথেই অভ্যস্ত হয়ে যাবা। আমরা পেরেছি তোমরাও পারবা। Nothing is impossible.
যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। আমরা সাথে সাথে কর্ম বিরতি থেকে ফিরে আসবো। আমরা হাস্পাতালে থাকতে চাই, রোগীর সেবা দিতে চাই, ভালো মানের ডাক্তার হতে চাই। আমাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হোক।
বিএসএমএমইউর রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা ভাতা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। মাত্র ২০ হাজার টাকা ভাতা পান তারা। ঢাকায় ২০ হাজার টাকা দিয়ে কী হয়? কিন্তু যৌক্তিক এই দাবির বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক স্লোগান দিচ্ছে। চিকিৎসকদের ভাতা বাড়লে তাদের সমস্যা কী? তাদের জ্বলে কেন?
এই এতটা বছর ধরে কেউ একজনও ভাবেনি একজন চিকিৎসককে বা অন্য ক্যাডারে যারা চাকরি নিবে ভারতচন্দ্রের বাবার নাম কেন তাকে মুখস্ত করতে হবে? সাধারণ জ্ঞান তথা জেনারেল নলেজের নাম দিয়ে যৌবনের সবচেয়ে সুন্দর পর্বের এই সময় ও এনার্জিটুকু শোষণ করার অধিকার তাদের আছে কিনা। এই নলেজ কি আসলেই কোন নলেজের পর্যায়ে পড়ে?
অফিস থেকে ফিরে আসর-মাগরিব আদায় করে ৯টায় আসছি আর এখন সময় ভোর ৪.৩০! মানে ট্রিটমেন্ট নিতে প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টা লেগেছে ধৈর্যের চরম পরিক্ষা দিতে হয় এইখানে! চিকিৎসার দিক বিবেচনা করলে তুলনামূলক বাংলাদেশেই ট্রিটমেন্ট অনেক সহজলভ্য!
ইমার্জেন্সিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা স্বাভাবিক এবং যুক্তিযুক্ত। বিহাইন্ড দ্য সিন কী চলে আমি জানি। সখ করে আপনাকে বসিয়ে রাখে না। আঙুল কাটা লোককে ৬ ঘণ্টা বসে থাকতে দেখেছি, কারণ তার থেকে ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার ভেতরে চলেছে।
যতবারই তার সাথে দেখা করতে চাইবেন এপয়েন্টমেন্ট লাগবে সঙ্গে ৮ হাজার রুপী ভিজিট। ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর এক রাশ মুগ্ধতা সহ আমি বেজায় খুশী। কিন্তু সমস্যা হল হরমোন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় । তিনি লিখেছেন প্রতিদিন 10 mg খেতে কিন্তু ওই ওষুধ 2.5 mg এর উপর পাওয়া যায় না।
চিকিৎসা ব্যবস্থার একস্তরে জনবলের ঘাটতি রেখে অন্যস্তরে পূরণ করলে চিকিৎসা প্রদানের সংকটের কোন পরিবর্তন আসে না। প্রান্তিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে কেন্দ্রের মহাপরিচালক পর্যন্ত– প্রত্যেক স্তরের জনবল রোগী চিকিৎসায় প্রয়োজন।
প্রায় একমাস পূর্বে অধ্যাপক ডা. নিশাত আবদুল্লাহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শুরু করা গেল না। এই কালক্ষেপন কার স্বার্থে?
আমি কি এমনি এমনি বলি যে, এই দেশ হলো মেধাবীদের জন্য কসাইখানা। এখানে ভালো থাকতে হলে স্মার্ট হতে হবে। কিভাবে কম পড়ে, কম জেনে, কম শিখে, কম সেবা দিয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় সেই সূত্র জানতে হবে।
প্রশাসনের ধীর গতি, লাল ফিতের দৌরাত্ম তো ছিলোই। আর ছিলো অন্তর্কলহ। সামগ্রিকভাবে ডাক্তাররা অন্য কিছু ক্যাডারের তুলনায় অনেক বঞ্চনার শিকার। অথচ নিজেরা একজন আরেকজনকে ঠ্যাং ধরে নামানোর জন্য মহাতৎপর! মামলা-মোকাদ্দমায় যেতেও পিছপা নন।
বাচ্চাগুলোকে দেখলে খুব মায়া লাগে। একটা জিনিসই আমরা ওদের থেকে চাই - পড়াশোনা, পড়াশোনা এবং পড়াশোনা। এ প্লাস পেতেই হবে। বাবামারা অন্তত বুঝুন, বাচ্চাগুলোকে বাঁচান।
একজন সরকারি ডাক্তারের জীবন বিশেষ করে বাংলাদেশে কত কঠিন তার বড় সাক্ষী আমি। সবচেয়ে মেধাবী হয়েও রাষ্ট্র কর্তৃক অবহেলিত এক পেশা। প্রমোশন নাই, একটা ভালো অফিস নাই। নারী ডাক্তার হলে কষ্ট আরও বেশি।