Copyright Doctor TV - All right reserved
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পুরোপুরি নিরাপদ হয়ে ওঠেনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ ৯-১৪ ডিসেম্বর ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ রবিবার (২৮ মে)। প্রতি বছর মতো এবারও ‘গর্ভকালে চারবার সেবা গ্রহণ করি, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করি’– প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর হার অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গর্ভাবস্থায় শিশুদের হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’-তে আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, সাধারণ অবস্থায় শিশুদের হেপাটাইটিস বি ও সি-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও গর্ভাবস্থায় এই ঝুঁকি ৯০ শতাংশ। এতে শিশুদের লিভার সিরোসিস ও ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে, বিশেষ করে বাড়িতে সন্তান প্রসবের ফলে শিশুদের এই ঝুঁকি আরও বেশি।
করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। কৃমি এক ধরনের পরজীবী প্রাণী, যা খাবার ও পানির মাধ্যমে বা পায়ের পাতা ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করে।
আটা, ময়দা, পিৎজা, পাস্তা ইত্যাদিতে অ্যালার্জির উপাদান রয়েছে। বিশেষ করে আটা। আটার আরও পরিশোধিত রূপ হলো ময়দা। এতেও রয়েছে অ্যালার্জির উপাদান। চালের আটা, বেসন আটা, সুজি বা চালের গুড়া- সবই কিন্তু আটা।
কলিজা অনেকে পছন্দ করেন, অনেকের রয়েছে অনীহা। বিশেষ করে সুবাসজনিত কারণে শিশুরা কলিজার প্রতি আগ্রহ দেখায় না। অথচ কলিজাতে রয়েছে মাংসের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ।
প্রোটিনের অন্যতম উৎস গরুর মাংস। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও বেড়ে উঠতে গরুর মাংস খুবই উপকারী। তবে শিশুর বয়স কত হলে, কী পরিমাণ মাংস খেতে দিবেন, তা নিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবক দ্বিধায় থাকেন।
আমাদের কাছে সম্প্রতি শিশুদের একটি সমস্যা নিয়ে অভিভাবকরা আসছেন। তাহলো, শিশুর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। করোনা মহামারীর এই সময়ে এমন হলে যে কোনো অভিভাবক ঘাবড়ে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তারা আসলে সন্তাদের করোনা হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে চান।
শিশুদের চোখ দিয়ে পানি ঝরার সমস্যা নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসেন। চার মাস বয়সী শিশু কান্না করার সময় পানি ঝরলে সেটি স্বাভাবিক ধরে নিতে হবে। কান্না ছাড়াও চোখে পানি এলে সতর্ক হতে হবে।
করোনা মহামারিতে আমরা সবাই কমবেশি উদ্বিগ্ন। নানা দুশ্চিন্তা ভর করে। এই সময়ে শিশুদের ছোটখাটো সমস্যা হলে ঘরে বসেই চিকিৎসা করাতে হবে।
নতুন মায়েরা তার সন্তানের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। বুকের দুধে পেট ভরছে কিনা এমন প্রশ্ন প্রায় করেন। এক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি, একজন মায়ের জমজ বাচ্চা থাকলেও ছয় মাস পর্যন্ত তাদের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে।
নতুন মায়েদের খুব কমন প্রশ্ন, বুকের দুধ খেয়ে বাচ্চার পেট ভরছে কিনা বুঝব কীভাবে? এক্ষেত্রে আমরা মায়েদের কাউন্সেলিং করে থাকি।