Copyright Doctor TV - All right reserved
মেরুদণ্ডের রক্তনালীতে কোনো টিউমার হলে সেটিকে আমরা ভাস্কুলার টিউমার বলি। প্রকারভেদ করার সময় আমরা কিন্তু সবগুলো টিউমারের নাম বলিনি। কারণ এটিকে সুনির্দিষ্টভাবে টিউমার বলা হয় না।
বর্তমানে সাধারণ মানুষও বিশ্বের কোথায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে কি প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে এবং সেগুলো কিভাবে কাজ করে, তা ঘরে বসেই জানতে পারছে। আগে রোগীরা অস্ত্রোপচারের কথা শুনলে খুব বেশি প্রশ্ন করতেন না। এখন অনেক প্রশ্ন করেন। ছোট নাকি বড়, কেটে, অ্যান্ডোস্কোপ নাকি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে অস্ত্রোপচার করবেন ইত্যাদি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে রোগীরা তাদের পছন্দগুলো সম্পর্কে জানতে পারছেন।
যেকোনো অস্ত্রোপচারের পর জটিলতা চিকিৎসারই অংশ। তবে একজন সার্জন সব সময় চেষ্টা করেন জটিলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে। নার্ভরুট টিউমার যেগুলো আছে যেমন, সোয়ানোমা ও মেনিনজিওমা— এগুলো নার্ভরুট বা স্পাইনাল কর্ডে কোনো ড্যামেজ ছাড়াই পরিপূর্ণভাবে বের করে দেওয়া যায়।
মানুষের মেরুদণ্ড অনেকগুলো সেগমেন্ট বা অংশে বিভক্ত। মেরুদণ্ডের অংশ ভেদে টিউমার বেশি বা কম হবে এমন কোনো অনুপাত নেই। ইন্ট্রা-ম্যাডুলারির ক্ষেত্রে ইনসাইড দা সেগমেন্টস চিন্তা করলে আলাদাভাবে টিউমারগুলো হওয়ার কোনো কারণ নেই।
মস্তিষ্কের টিউমারে মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ মস্তিষ্কে সব ভাইটাল ও কার্ডিয়াক সেন্টার আছে। এজন্য ব্রেইন টিউমার অপারেশন না করলে বড় হয় বা কোনিং হয়ে যায়। ওখানে টেন্টুরিয়াল হার্নিয়েশন হয়ে যায়, যেটি সেরেব্রাল হার্নিয়েশন হয়ে পরে ব্রেইন স্টেম কমপ্রেশন হয়ে রোগী মারা পর্যন্ত যেতে পারে।
অবশ্যই হতে পারে। কারণ আমরা মেরুদণ্ডের টিউমার বলতে শুধু স্পাইনাল কর্ডের টিউমার বলছি না। স্পাইনাল কর্ডের টিউমার মূলত মেরুদণ্ডের একটা অংশের টিউমার, যেটিকে আমরা ইন্ট্রা-ম্যাডুলারি টিউমার হিসেবে ভাগ করে থাকি।
মস্তিষ্কের (ব্রেন) টিউমার নিয়ে আলোচনা বেশি হওয়ায়, এটি সম্পর্কে মানুষ কমবেশি জানে। সে তুলনায় এদেশে মেরুদণ্ডের (স্পাইনাল কর্ড) টিউমার নিয়ে জানাশোনা বেশ কম।
মস্তিষ্কের (ব্রেন) টিউমার নিয়ে আলোচনা বেশি হওয়ায়, এটি সম্পর্কে মানুষের কমবেশি ধারণা রয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় এদেশে মেরুদণ্ডের (স্পাইনাল কর্ড) টিউমার নিয়ে জানাশোনা একটু কমই।