Copyright Doctor TV - All right reserved
দেশে আগামী বছর থেকে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। যক্ষ্মা শনাক্তে প্রাথমিকভাবে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড়- এই তিনটি জেলায় পাইলট কর্মসূচি হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হবে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
যক্ষ্মা বাংলাদেশ সহ সাউথ এশিয়ায় মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়ে বছরে ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়,প্রতিদিন ১১৫ জন মারা যায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি যক্ষ্মা নির্মূলে এবং যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনে এই কার্যক্রম আরো জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য সকল নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদানে অংগীকারাবদ্ধ।
আজ ২৪ মার্চ (রোববার) ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে সচেতনতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘হ্যাঁ আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডায়াগনোস্টিক ফর লিম্ফ নোড টিউবারক্লোসিস ইউজিং পোর্টেবল স্টেশন/মোবাইল টিবি ল্যাব শীর্ষক বহু দেশীয়, বহু সেন্টার ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রমের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
যক্ষ্মা নির্মূলে যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এ কাজে সব শ্রেণী পেশার মানুষকে গুরুত্বের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে সন্দেহভাজন কয়েদীদের যক্ষ্মা রোগের স্ক্রিনিং কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৬ জুলাই থেকে ১ আগস্ট মোট ৯৭৮ জনকে স্ক্রিনিং করে ১৫৬ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। স্ক্রিনিং-এ সনাক্তকৃত যক্ষ্মা রোগীদের এবং তাদের সান্নিধ্যে থাকা কয়েদীদের ইতোমধ্যে আইসোলেশন করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেতে সম্মিলিত চেষ্টায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
যক্ষ্মা দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ায় এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ খেতে হয়। যেটা ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে সেটা ১২, ১৮ এবং ২৪ মাসের ও হয়ে থাকে।
যক্ষ্মায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস। তবে হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশি ও থাইরয়েড গ্রন্থিসহ শরীরের যেকোনো অঙ্গেই রোগটি হতে পারে।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ)। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়।
আশঙ্কাজনক তথ্য হচ্ছে, বিশ্বের ৪ ভাগের ১ ভাগ মানুষের শরীরে যক্ষ্মা রোগের জীবানু সুপ্ত থাকে। তার মানে হল ওই মানুষগুলো জীবানুতে আক্রান্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা অসুস্থ হননি। এই আক্রান্তদের ৫-১৫ % শতাংশ সারা জীবন ধরেই রোগের শিকার হবার আশঙ্কা থেকে যায়।
গত এক বছরে ৩ হাজার ৬৪১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়। এর মধ্যে শুধু রাজশাহী মহানগরীতেই শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ জন। জেলার অন্যান্য স্থানে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২০৫ জন।
যক্ষ্মা বিষয়ক জনসচেতনতা বাড়াতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধন হলো কুমিল্লায়। ১ বছরে ১ লাখ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে চান উদ্যোক্তারা। সোমবার কুমিল্লায় জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচির ত্রৈমাসিক পর্যবেক্ষণ সভায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ, সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও বর্তমান জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এবং সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেইন।
উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা দেশেই রয়েছে। বর্তমানে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ‘যক্ষ্মা এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং’ শীর্ষক আলোচনায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে যক্ষ্মায় ৭০ হাজারের অধিক মৃত্যু ছিল এখন তা ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সব ব্যবস্থা রয়েছে।