Copyright Doctor TV - All right reserved
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অন্তিম সময়ে গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকরা বড় কোনো হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন। বলেছিলাম, চোখ খুলে যদি তিনি দেখেন, তাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাহলে জানতে চাইবেন, 'কে নিল এই সিদ্ধান্ত'।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে বারিশ চৌধুরীর ও তার পরিবারের সিন্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম্মা সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেইন গেইটের বাম পাশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কবর দেওয়া হবে। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টা হতে বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সর্ব সাধারনের জন্য লাশ দেখার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ঢাকার সাভারে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা জানাজা নামাজের পর সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাফন করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই নন বরং একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে আমি মনে করি। তাঁর ছাত্রজীবন থেকে আমরা যারা তাঁকে জানি, তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ বিদায়ী শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
সারা জীবন দেশে একটি কার্যকর ও সুলভ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখতেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রয়াসে নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জগতের মায়া ত্যাগ করে অন্ততকালের পথে পাড়ি দিয়েছেন ক্ষণজন্মা এ চিকিৎসক। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি তাঁর গড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই চিকিৎসা নিয়েছেন। এমনকি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসকও আনতে রাজি হননি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দাফন করা হবে নাকি তাঁর দেহ দান করা হবে, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
কিছুদিন আগে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ করোনা সেবা উদ্যোগ নিয়ে লেখার পর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কেন অনেকের অপছন্দের? তিনি ওষুধ ও স্বাস্থ্য বিষয়ে অতীতে কী করতে চেয়েছিলেন?
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই। আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছে।
গুরুতর অসুস্থ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেখতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে আসলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক স্বনামধন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।
বর্তমানে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ঢাকাস্থ ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বি: জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফীর (অব:) অধীনে চিকিৎসাধীন। দেশের অন্যান্য স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাঁর চিকিৎসা চলমান রয়েছে। তবে অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।