Copyright Doctor TV - All right reserved
কিডনি রোগের নানা ধরন ও ধাপ রয়েছে। সবমিলিয়ে কিডনি রোগে ভুগছে দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ। এর চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল, যা বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই ২৫ শতাংশ রোগীর। কিডনি বিকল প্রচুর রোগীর হেমোডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হলেও এই চিকিৎসা নিতে পারছে না প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী।
দেশের অন্তত ৫০ লাখ শিশু কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ অর্থাৎ কমপক্ষে আড়াই লাখ শিশু ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীদের মধ্যে ৪ থেকে ৫ শতাংশ শিশু কিডনির সমস্যা নিয়ে আসে। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে শিশুর কিডনি বিকল রোগে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস প্রশিক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।
প্রাণঘাতী কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল। অথচ, জনসাধারণকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে ডক্টর টিভিকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) চেয়ারম্যান এবং আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) চেয়ারম্যান এবং আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। শনিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্যাম্পস আয়োজিত ১৯তম গোলটেবিল বৈঠকে মূলপ্রবন্ধে এ কথা বলেন তিনি।
দেশের প্রখ্যাত কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মহসিন আর নেই। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এদিকে, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মহসিনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
অনেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। কেউ ডায়াবেটিস রোগী, কেউবা হৃদ্রোগে ভুগছেন। আবার কারও উচ্চ রক্তচাপ আছে। কেউ কেউ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বা কিডনি রোগে ভুগছেন। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা
কিডনি রোগী সবার জন্য রোজা রাখা সমস্যা না। যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মূল সমস্যা।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ফেইলিউর রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। তবে অবশ্যই বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্টেজ ১, ২ ও ৩ পর্যন্ত ক্রনিক কিডনি রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে স্বাভাবিকভাবেই রোজা রাখতে পারবেন।
শিশু কিডনি রোগীদের নিয়ে পদ্মা সেতু ভ্রমণের মতো ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগ।
বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জীবন পদ্ধতির বদল, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত ওজন, বেশিক্ষণ বসে কাজ করাসহ নানা কারণে কিডনি রোগ বাড়ছে। কিডনি রোগে আক্রান্তের হার গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি।
কিডনি, আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এই অঙ্গটির কাজ কী? কেনই বা এতো গুরুত্বপূর্ণ? কিংবা বেশি বেশি ঔষধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ...
বিশ্বে প্রতি বছর সাত কোটি মানুষ কিডনি রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৪০ হাজার। অথচ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে এবং সতর্ক থাকলে...
শিশু কিডনি রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমে প্রস্রাব পরীক্ষা অর্থাৎ ইউরিন এনালাইসিস করা হয়। রোগের উপসর্গ অনুযায়ী ইউরিন কালচার, ইউরিন প্রোটিন টেস্ট করা হয়। এছাড়া রক্ত পরীক্ষা, অ্যালবুমিন, কোলেস্টেরল, ইলেক্ট্রোলাইট, ক্রিয়েটিনিন ইউরিয়া ক্যালসিয়াম, ফসফেট ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
কিডনি রোগ সংক্রান্ত চিকিৎসা শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর নতুন বই লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল...
শিশু ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ মুখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের চাপ কমে আসা, হাতে-পায়ে পানি চলে আসা, পেটে পানি চলে আসা, প্রস্রাব কমে যাওয়া। প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, জ্বর, বমি বমি ভাব। এসব শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণ।