Copyright Doctor TV - All right reserved
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা ডিজিজ মেয়েদের এক জটিল রোগ যা হরমোন এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের এক কঠিন সমাহার। জেনেটিক কারনেও এ কঠিন সমস্যাটি হতে পারে। এজন্য বংশ পরম্পরায় মেয়েদের মাঝে স্থুলতা ও পিসিওএসের সমস্যা দেখা যায়। আজ পর্যন্ত এ সমস্যার জটিল প্যাথফিজিওলজিটি সম্পূর্ণ ক্লিয়ার নয়।
ভয়াবহ এক রোগ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)। এতে আক্রান্তরা অল্প দিনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তবে জীবনাচরণ বদলে পিসিওএস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বংশগত ও হরমোনাল রোগ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে গেলে রোগটি হয়। স্কুল-কলেজে এ সম্পর্কে আলোচনা নেই বলে সঠিক সময়ে রোগটি স্ক্রিনিং সম্ভব হচ্ছে না, যা পরবর্তীতে জটিল আকার নিচ্ছে। এ জন্য স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে পিসিওএস অন্তর্ভুক্ত এবং জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
দেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিওএস সচেতনতা মাস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এতথ্য জানানো হয়।
ওষুধ না খেয়ে ব্যায়াম ও খাবারে পরিবর্তন এনে পিসিওএস রোগ ৫০ ভাগ ঠিক হয়ে যায়। ওষুধ সেবনে শতকরা ৮০ ভাগ সুস্থ হন। চূড়ান্ত পর্যায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও খাদ্যাভাস পরিবর্তনে পিসিওএস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব
প্রায় ৪০ ভাগ নারী পিসিওএস রোগে কমবেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ অনিয়মিত মাসিক, মুখে বা শরীরে অত্যাধিক লোম বৃদ্ধি, মাথার চুল পড়া, তৈলাক্ত ত্বক ও ওজন বৃদ্ধি।