Copyright Doctor TV - All right reserved
মানবসভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, ভবিষ্যতে এন্টিবায়োটিকের কার্যকর রাখতে হলে- এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত হবে না। দরকার হলে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শমাফিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আইসিডিডিআর, বি তে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। 'অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স টুগেদার' শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে এএমআর ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা এএমআর এর নজরদারি এবং প্রতিরোধের উপর আইসিডিডিআর, বি এর দীর্ঘকালীন গবেষণা তুলে ধরেন।
এই শতাব্দীর চিকিৎসাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধ করা। আজকে আমাদের ওয়ার্ডে একজন রোগীর প্রস্রাবের কালচারের রিপোর্ট এটা। হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে রইলাম। সব এন্টিবায়োটিকই রেজিস্ট্যান্ট!
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেছেন, আগামী বিশ বছরে ক্যানসারের চেয়েও বেশি রোগী মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে। এর পেছনে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী বাজারজাতকরণ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি প্রধানভাবে দায়ী করেন তিনি।
অ্যান্টিবায়োটিক, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম আশীর্বাদ। ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত ইনফেকশন বা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে পীড়িতকে সুস্থ্য করে তোলে। তবে সঠিক পরিমাণে এবং পর্যাপ্ত সময় ধরে...
২০১৭-২০২২ সালের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের অকার্যকারিতা (এএমআর) সার্ভিলেন্স এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সর্বাধিক গুরুত্বের অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে এজিথ্রোমাইসিন ছাড়া বাকি সবগুলোরই (সেফটাজিডিম, সেফিক্সিম, সেফেপাইম, সেফট্রায়াক্সোন, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন) জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকারিতা হারানোর প্রমাণ মিলেছে।
ঢাকা ডেন্টালের ডিপার্টমেন্ট অফ ফার্মাকোলজি ও ডেন্টাল ফার্মাকোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শুধুমাত্র এই রেজিস্ট্যান্সের কবলে পড়ে ২০৫০ সাল নাগাদ কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন লোক মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। যেটা কোনো অংশেই একটা বিধ্বংসী বিশ্বযুদ্ধের চেয়ে কম নয়!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের (প্রতিরোধ) কারণে ২০৫০ সালে করোনাভাইরাসের চেয়ে বেশি সংকটে পড়বে দেশ। মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এ সময়ের মধ্যে দেশে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ মারা যেতে পারে।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সুপারবাগ সংক্রমণে ২০১৯ সালে ১২ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে এটিকে এখন পর্যন্ত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল...
দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার হয়েছে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণা এমন তথ্য উঠে...
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে আমরা বুঝি- ব্যাকটেরিয়ার এক ধরনের শক্তি অর্জন করা বা অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার পদ্ধতি বা একটি পথ শিখে ফেলা। মানুষ যেমন প্রকৃতিতে...