অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সে বিশ্বে প্রতিবছর ১.২৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু
আইসিডিডিআর, বি তে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে 'অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স টুগেদার' শীর্ষক বিশেষ সেমিনার
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আইসিডিডিআর, বি তে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। 'অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স টুগেদার' শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে এএমআর ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা এএমআর এর নজরদারি এবং প্রতিরোধের উপর আইসিডিডিআর, বি এর দীর্ঘকালীন গবেষণা তুলে ধরেন।
স্বাগত বক্তব্যে আইসিডিডিআর, বির সিনিয়র বিজ্ঞানী (ইমেরিটাস) ড. রুভানা রাকিব বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ইতিমধ্যে একটি ব্যাপক জনস্বাস্থ্যের বোঝা তৈরি করেছে। যার ফলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। উন্নত এন্টিমাইক্রোবিয়াল স্টুয়ার্ডশিপ এবং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন ছাড়া এই সংখ্যা ২০৫০ সালে ১০ মিলিয়ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউছুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইডিসিআর এর পরিচালক প্রফেসর তাহমিনা শিরিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউছুফ বলেন, যথাযথ প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে বিদ্যমান আইন আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ড্রাগ এবং কসমেটিকস আইন সম্প্রতি পাস করা হয়েছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে এএমআর এর সমস্যা মোকাবিলায করা সম্ভব হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে নীরব মহামারী বলে মন্তব্য করেন আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রোমোশন অফিসারের সাথে কাজ করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে মাদক বিক্রেতাদের মাঝে সচেতনতা কর্মসূচি এবং এএমআর এর মৌলিক বায়োমার্কার সনাক্ত করতে হবে।