অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সুপারবাগে বছরে ১২ লাখ মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
2022-01-20 20:53:05
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সুপারবাগে বছরে ১২ লাখ মৃত্যু

গবেষণা প্রতিবেদনে এটিকে এখন পর্যন্ত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাবের সর্বাধিক বিস্তৃতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সুপারবাগ সংক্রমণে ২০১৯ সালে ১২ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে এটিকে এখন পর্যন্ত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাবের সর্বাধিক বিস্তৃতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে এই মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুহার এইচআইভি/এইডস বা ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর চেয়েও বেশি।

ল্যানসেটে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সও পাওয়া গেছে যা আরও ৩৬ লাখ ৮০ হাজার লোককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

বিশ্বের ২০৪টি দেশ এবং অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিল্যান্স নেটওয়ার্ক, পূর্ববর্তী সমীক্ষাসহ ব্যাপক ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার সহ-লেখক ক্রিস মারে বলেছেন, ‘এই নতুন পরিসংখ্যান বিশ্বে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের প্রকৃত মাত্রা নির্দেশ করেছে। এটি এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, হুমকি মোকাবিলায় আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, যদিও পূর্ববর্তী অনুমানে বলা হয়েছিল ২০৫০ সাল নাগাদ সুপারবাগ প্রতি বছর ১ কোটি লোকের মৃত্যু ঘটাতে পারে। বর্তমান গবেষণায় দেখা যায়, আরও দ্রুত সময়ে মৃত্যুর এই সংখ্যা অতিক্রম করতে পারে।

ক্রিস মারে বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের বিরুদ্ধে আমরা যদি এগিয়ে থাকতে চাই, তাহলে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।’

ব্যাকটেরিয়া যখন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে শক্তিশালী হয়, তখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ঘটে। ফলে ওই ব্যাকটেরিয়াটি অ্যান্টিবায়োটিকরোধী হয়ে পড়ে। এই অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স। এর ফলে কোনো ওষুধই এদের বিরুদ্ধে আর কাজ করতে পারে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটিকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে ঘোষণা করে বিকল্প চিকিৎসার সমীক্ষার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করেছে।


আরও দেখুন: