Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


দুপুরে ২৬ মিনিট ঘুমে ৩৩ শতাংশ কর্মক্ষমতা বাড়ে

Main Image

বিকেলের ঈষৎ নিদ্রা স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতায় সহায়তা করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে


ভারতের আধুনিক ফার্নিচার ব্র্যান্ড ‘ওয়েকফিট’ তার সব কর্মীর জন্য অফিসে ৩০ মিনিট ঘুমের সময় ঘোষণা করেছে। কর্মীরা বেলা ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে ঘুমাতে পারবেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি তার সব কর্মীর কার্যসূচি বন্ধ রাখবে।

ঘুমের যথাযথ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য তারা অফিসে আরামদায়ক ‘ন্যাপপড’ ও ‘শান্ত কক্ষ’ তৈরিতে কাজ করছে।

ওয়েকফিট ভারতের বেঙ্গালুরুভিত্তিক স্টার্টআপ। ওয়েকফিটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছে একটি অফিশিয়াল ই-মেইল পাঠিয়েছেন। ই-মেইলের শিরোনাম: ‘আপনার ঘুমানোর অধিকার ঘোষণা করা হচ্ছে’।

চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া লিখেছেন, ‘আমরা ছয় বছরের বেশি সময় ধরে ঘুমের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় আছি। কিন্তু আমরা বিশ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক— বিকেলের ঈষৎ নিদ্রার (ন্যাপ) প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা সব সময় ঈষৎ নিদ্রাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। কিন্তু আজ থেকে আমরা এই বিষয়কে পরের ধাপে নিয়ে যাব।’

অর্থাৎ, ওয়েকফিটের কর্মীরা অফিসে ঈষৎ নিদ্রার অধিকার পাবেন। ঘুমের জন্য অফিশিয়াল সময় ঘোষণার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাসা ও হার্ভার্ডের গবেষণার কথা উল্লেখ করেন চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া।

তিনি বলেন, নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ মিনিটের ঘুমে ৩৩ শতাংশ কর্মক্ষমতা বাড়ে। ঘুম কীভাবে শক্তি বা উৎসাহ না থাকা অবস্থা দূর করে, তা উঠে এসেছে হার্ভার্ডের গবেষণায়। বিকেলের ঈষৎ নিদ্রা স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতায় সহায়তা করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

ওয়েকফিটের কর্মীদের কাছে পাঠানো ই-মেইলটি লিংকডইনে শেয়ার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ব্র্যান্ড প্রতীক মালপানি। তিনি তার সহকর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, এটা সত্য, এটা বাস্তবিক। ওয়েকফিট অফিশিয়াল ঘুমের সময় ঘোষণা করেছে।

প্রতীক লিখেছেন, ‘আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি অফিসে ঘুমানোর জন্য বেতন পাচ্ছি।’

আরও পড়ুন