Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫


গাজা থেকে শিশুরা জর্ডানে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর, আরও দেশের প্রতি ডব্লিউএইচও’র সহায়তার আহ্বান

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


গাজা উপত্যকা থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, জর্ডানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো রোগীদের বেশিরভাগই শিশু।

বুধবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বার্তায় ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস জানান, “আজ আমরা গাজা থেকে ৩৫ জন রোগী এবং তাদের পরিবারের ৭২ জন সদস্যকে জর্ডানে স্থানান্তরের সমন্বয় করেছি। রোগীদের অধিকাংশই শিশু।”

 

তিনি জর্ডান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসা ও বিশেষায়িত সেবা প্রদানের জন্য জর্ডান সরকারের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।”

টেড্রোস জানান, গাজার ১০ হাজারের বেশি মানুষের এখনো চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের প্রয়োজন রয়েছে। “আমরা অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন চিকিৎসাসেবার জন্য এইসব রোগীদের গ্রহণে এগিয়ে আসে। বহু মানুষের জীবন এখন এই সহায়তার ওপর নির্ভর করছে,” যোগ করেন তিনি।

 

ডব্লিউএইচও বলছে, গাজায় চলমান সহিংসতা, বিমান হামলা, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট এবং খাদ্য, পানি ও জ্বালানির অভাবের কারণে অধিকাংশ হাসপাতাল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থার আশঙ্কা, বর্তমান হারে রোগী স্থানান্তর চললে সব রোগীকে সেবা দিতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে।

 

এদিকে ডব্লিউএইচও দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের হাসপাতালগুলোতে যুদ্ধ-পূর্ব রেফারেল ব্যবস্থা পুনরায় চালুর জন্য একটি নিরাপদ চিকিৎসা করিডর তৈরির দাবি জানিয়ে আসছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অপরদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন