Copyright Doctor TV - All right reserved
মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সবার আগে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধ করতে হবে। এরপর পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। শিশুর প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবারের ভূমিকাই মূখ্য। তবে কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তখন চিকিৎসকের ভূমিকা সামনে আসবে।
মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সবার আগে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধ করতে হবে। এরপর পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পরিবারের ভূমিকাই মূখ্য। কারণ, পরিবারই একটি শিশুর প্রথম প্রতিষ্ঠান, এরপর আসে সমাজ ও রাষ্ট্র।
ইদানিং অনেক নতুন নতুন মাদকের নাম আসছে পত্রপত্রিকায়। এগুলোর ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেই। ফলে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক গাইডলাইন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে জানতে হবে মাদকাসক্তি কী? নেশায় জড়িয়ে পড়া বা মাদকাসক্তি একটি ব্যাধি। সাধারণত চিকিৎসাবিদ্যায় মাদকাসক্তিকে বলা হয়, ক্রনিক রিলাক্সিং ব্রেইন ডিজিজ বা বার বার হতে পারে এমন স্নায়বিক রোগ।
নেশাদ্রব্যের তালিকায় তামাক জাতীয় পণ্যকে শেষ সারিতে রাখা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, তামাক একটি ভয়ঙ্কর ও সবচেয়ে জনপ্রিয় নেশাদ্রব্য। যদিও অনেকের কাছে তামাক জাতীয় পণ্যগুলো খুবই নিরীহ বলে হাজির হয়।
চা ও কফি পান অবশ্যই আসক্তির পর্যায়ে পড়ে। তবে এ আসক্তির লক্ষণগুলো নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, কত দিন ধরে পান করছে, তার ওপর। কেউ সকাল-বিকাল দুই কাপ কফি পান করলে, সেটিতে নেশা হওয়ার কিছু নেই।
সিগারেটে আসক্তি কমানোর বিষয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সিগারেটের বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন হচ্ছে নিকোটিন। এ নিকোটিনের কারণে পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটা অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। লাঙ্গস ক্যানসারের প্রধান কারণ হচ্ছে সিগারেট। মুখের বা গলার ক্যানসারের প্রধান কারণও সিগারেট।
একটি কিশোর মাদকাসক্ত হলে তার ভেতরে কী ধরনের পরিবর্তন আসে, তা পরিবারের বয়োঃজ্যেষ্ঠদের ধারণা থাকলে সমস্যাটি প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিরোধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আওতায় আনা যায়।