একটি কাজে দূর হবে সিগারেটে আসক্তি

অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী
2021-08-08 16:43:39
একটি কাজে দূর হবে সিগারেটে আসক্তি

দেখা যায়, যারা সিগারেট ছাড়ে তারা বারবারই ছাড়ে ও ধরে

সিগারেটে আসক্তি কমানোর বিষয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সিগারেটের বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন হচ্ছে নিকোটিন। এ নিকোটিনের কারণে পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটা অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। লাঙ্গস ক্যানসারের প্রধান কারণ হচ্ছে সিগারেট। মুখের বা গলার ক্যানসারের প্রধান কারণও সিগারেট।

সিগারেটের কারণে অনেক বড় বড় রোগ যেমন, ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, ক্যানসার, বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষণার পাশাপাশি সিগারেটে আসক্তি কমানোর জন্য অনেক অ্যান্টিডোটও বের করা হয়েছে। কিন্তু আদৌতে এগুলো খুব একটা কাজে আসেনি।

আসলে সিগারেটে আসক্তি কমাতে হলে এটির বিকল্প কোনো ভালো কাজের প্রতি আসক্তি বাড়াতে হবে। সহজ ভাষায়, মনের জোর বাড়াতে হবে। যেকোনো মাদকাসক্ত রোগীর চিকিৎসার প্রথম ধাপ হচ্ছে মোটিভেশন। রোগীর নিজের মনের জোর বা মোটিভেশন না থাকলে কোনো চিকিৎসা কাজে দেবে না।

সিগারেটের বিকল্প একটি ভালো অ্যান্টিডোট পেলে আমি সিগারেট ছেড়ে দেব, এমন জোর বাড়ালে হবে না। চিকিৎসক আপনাকে একটা ওষুধ দিবেন, আপনি সিগারেট ছেড়ে দিবেন বাস্তবে এমন দেখা যায় না। সিগারেট ছেড়ে দেওয়া একটু কঠিন কাজ। দেখা যায়, যারা সিগারেট ছাড়ে তারা বারবারই ছাড়ে ও ধরে।

আপনি মনের জোর বাড়ান। সিগারেট ভালো অভ্যাস নয়, এটি মাথায় গেঁথে নিন। সিগারেটের কুফল নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন, আপনার আশেপাশে দৃষ্টান্ত খুঁজুন, যারা সিগারেট বা ধূমপানের কারণে অসুখে ভুগে মারা গেছেন। একমাত্র চিকিৎসা মনের জোর বাড়াতে পারলে বা নিজের মধ্যে মোটিভেশন আনতে পারলে সিগারেট বা ধূমপান ছেড়ে দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।

একই কথা আমরা গাঁজাসহ অন্যান্য নেশাদ্রব্যের ক্ষেত্রেও বলে থাকি। মনের জোর বাড়াতে পারলে আপনি শুধু সিগারেট নয়, এর চেয়েও গুরুতর মাদকদ্রব্য থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।


আরও দেখুন: