Copyright Doctor TV - All right reserved
এবার সারাহ ইসলামের মরণোত্তর কিডনি গ্রহণকারী শামীমা আক্তারও মারা গেলেন। ফলে ‘ব্রেন ডেড’ (মরণোত্তর) ওই তরুণীর কিডনি নেওয়া দুই নারীরই মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে শামীমা মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।
বিএসএমএম প্রক্টর বলেন, ‘সারা যখন বুঝতে পারেন তার অবস্থা ভালো না, সেই মুহূর্তে মাকে বলে যান মৃত্যুর পর যেন তার পুরো দেহটাই দান করা হয়। মৃত্যুর পর তার মা আমাদের বিষয়টি জানান। তার সম্মতিতেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। আমাদের দেশে হার্ট ও লিভার ট্রানপ্ল্যান্ট এখনও সেভাবে শুরু হয়নি বলে এ দুটি অঙ্গ নেয়া হয়নি। সেগুলোর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
৯ জন মরণোত্তর দেহদানকারী ও ৩০ জন দেহদানের অঙ্গীকারকারীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগ। রোববার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু।
প্রশাসনের ধীর গতি, লাল ফিতের দৌরাত্ম তো ছিলোই। আর ছিলো অন্তর্কলহ। সামগ্রিকভাবে ডাক্তাররা অন্য কিছু ক্যাডারের তুলনায় অনেক বঞ্চনার শিকার। অথচ নিজেরা একজন আরেকজনকে ঠ্যাং ধরে নামানোর জন্য মহাতৎপর! মামলা-মোকাদ্দমায় যেতেও পিছপা নন।
দেশে মরণোত্তর দেহদানের অগ্রদূত সারাহ ইসলাম। তার দেখানো পথে এবার সরকারিভাবে শুরু হতে যাচ্ছে এ প্রক্রিয়া। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারকারীদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।
সদ্য প্রয়াত ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বড়ুয়ার (৬৯) মরণোত্তর দেহদান সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর কর্নিয়ায় চোখের আলো ফিরেছে ২ জনের। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় (২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নন্দিয়া বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহগ্রহণ করেন।
মৃত্যুর আগে নিজ দেহের সবকিছুই দান করে দিতে বলেছিলেন সারা ইসলাম। চিকিৎসকরা শুধু তার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া কাজে লাগিয়েছেন। অতল শোকের মাঝেও মেয়ের দুটি কিডনি ও চোখের কর্নিয়া দান করার বিষয়ে সম্মতি দেন প্রয়াত সারার মা শবনম সুলতানা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব কৃষ্ণ দাশ গুপ্ত। আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এই সংক্রান্ত দলিলের চুক্তিপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ও এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর নিকট হস্তান্তর করেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত কুমার সরকারের (৬৫) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এটি হস্তান্তর করেন তার ছেলে অনুজীপ সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহদান করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার জামিলা বুপাশা কান্তা (৪৩)
মরণোত্তর চক্ষুদানের আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সকলে এগিয়ে আসলে অন্ধত্বমোচন সম্ভব। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসএমএমইউ’র...