সারার অঙ্গদানের সম্মতিপত্রে তার মা যা লেখেন

অনলাইন ডেস্ক
2023-01-21 12:04:40
সারার অঙ্গদানের সম্মতিপত্রে তার মা যা লেখেন

মরণোত্তর অঙ্গদানকারী সারা ইসলাম ও তার মা শবনম সুলতানা

দেশে মরণোত্তর অঙ্গদানের অনন্য নজির স্থাপন করে চলে গেছেন ২০ বছর বয়সী  তরুণী। তার দেয়া দুটি কিডনিতে নতুন জীবন পেয়েছেন অসুস্থ দুইজন। তার চোখের কর্নিয়ায় আলো ফিরে এসেছে অন্ধ হতে বসা দুইজনের চোখে।

মৃত্যুর আগে নিজ দেহের সবকিছুই দান করে দিতে বলেছিলেন সারা ইসলাম। চিকিৎসকরা শুধু তার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া কাজে লাগিয়েছেন। অতল শোকের মাঝেও মেয়ের দুটি কিডনি ও চোখের কর্নিয়া দান করার বিষয়ে সম্মতি দেন প্রয়াত সারার মা শবনম সুলতানা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া সম্মতিপত্রে সারার মা লিখেছেন, ‘আমি শবনম সুলতানা এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে; আমার মেয়ে সারা ইসলাম (২০), (multiple tubular Sclerosis) রোগের অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় ZCU, BSMMU ভর্তি করানো হয়। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে, অত্র ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ডাক্তারেরা তাকে (Brain stem Death) ঘোষণা করেন। এমতাবস্থায় আমি স্বেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে আমার মেয়ের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া দান করতে সম্মতি দান করছি। এটি করতে কোন প্রকার ভয় ভীতি বা আর্থিক প্রলোভন দেখানো হয়নি। এই অস্ত্রোপচার এবং কিডনি ও কর্নিয়া দান সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা, জটিলতা হলে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী সদস্য, অধ্যাপক, চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারী দায়ী থাকবে না।’


উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির দুটি কিডনি বিকল রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। সারা ইসলামের দুটি কিডনির একটি ৩৪ বছর বয়সী শামীমা আক্তারের দেহে বিএসএমএমইউ’র কিডনি অপারেশন থিয়েটারে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। আর অপর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে কিডনি ফাউন্ডেশনের এক রোগীর দেহে। 


আরও দেখুন: