সরকারি নিবন্ধনে মরণোত্তর দেহদান, উদ্বোধন সোমবার
যারা নিবন্ধন করবেন, তাদের দেওয়া হবে বিশেষ ডোনার কার্ড
দেশে মরণোত্তর দেহদানের অগ্রদূত সারাহ ইসলাম। তার দেখানো পথে এবার সরকারিভাবে শুরু হতে যাচ্ছে এ প্রক্রিয়া। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারকারীদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে অঙ্গীকার অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী অস্ত্রোপচার টিমের সব সদস্যের মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করার কথা রয়েছে।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, যারা নিবন্ধন করবেন, তাদের দেওয়া হবে বিশেষ ডোনার কার্ড। এ জন্য জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিএসএমএমইউতে একটি সেল গঠন করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, মস্তিস্ক মৃত (ব্রেইন ডেড) ব্যক্তির দেহ থেকে ১২ ধরনের অঙ্গ সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন সম্ভব। দেশে ১৯৮২ সালে জীবিত দাতার কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়। ব্রেইন ডেড রোগীর কিডনি নেওয়ার ব্যাপারে আইনি সীমাবদ্ধতা ছিল। ২০১৮ সালে আত্মীয়দের সম্মতিতে ব্রেইন ডেড রোগীর অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দিয়ে অঙ্গদান আইন সংশোধন করা হয়। এরপর ১৮ জানুয়ারি প্রথম সারাহ ইসলামের মাধ্যমে দেশে মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, আবৃত্তিকার হাসান আরিফ ও রাজশাহীর বাসিন্দা জামিলা বুপাশা মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। এখন তাদের দেহ রয়েছে বিএসএমএমইউতে।