
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণমাত্রায় চালুসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের চিকিৎসক সমাজ। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক অংশ নেন।
কর্মসূচি শেষে চিকিৎসক প্রতিনিধিরা ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) ও প্রো-ভিসি’র নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও কর্মী সংকটের কারণে এখনও পূর্ণমাত্রায় কার্যকর নয়। এর ফলে রোগীরা উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষানবিশ ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন না। বক্তারা বলেন, “জাতীয় স্বার্থে হাসপাতালটি সম্পূর্ণভাবে চালু করে সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।”
এসময় তারা শিক্ষক ও মেডিকেল অফিসার নিয়োগের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন অনুষদ ও হাসপাতালে বহু পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকলেও যথাসময়ে কোনো নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি। বক্তারা বলেন, “মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে নতুন পদ সৃষ্টি করতে হবে।”
তৃতীয় দাবিতে চিকিৎসকরা রেসিডেন্ট ও ট্রেইনি ডাক্তারদের জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত হোস্টেল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, বর্তমানে নির্দিষ্ট হোস্টেল না থাকায় শিক্ষানবিশরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি তারা আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও একাডেমিক সাপোর্ট সিস্টেম স্থাপনের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, “পূর্ণাঙ্গ হোস্টেল ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ছাড়া উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
চিকিৎসক সমাজের দাবি—উল্লিখিত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হলে বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও স্বাস্থ্যসেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে। একইসঙ্গে তারা গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান, এসব ন্যায্য দাবিকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।
আরও পড়ুন