
গত (০২ নভেম্বর ২০২৫) দিবাগত রাতে সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষুব্যাংকের একটি বিশেষজ্ঞ টিম বগুড়া সদরের নিবাসী মরহুম মোঃ বেলাল আহম্মেদ (৭৪)-এর কর্ণিয়াদ্বয় সংগ্রহ করে। মরহুম জীবদ্দশায় পরিবারের কাছে মরণোত্তর চক্ষুদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কন্যা পিতার শেষ ইচ্ছা পূরণের লক্ষ্যে সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষুব্যাংকে বিষয়টি জানান এবং কর্ণিয়া সংগ্রহে পরিবারের সদস্যরা পূর্ণ সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে মরহুমের স্ত্রীর মৃত্যুর পরও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কর্ণিয়া দান করা হয় এবং সন্ধানী টিম সেই কর্ণিয়াও সংগ্রহ করেছিল।
অদ্য (০৪ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে বিশিষ্ট কর্ণিয়াল সার্জন ডা. সৈয়দ এ. হাসান সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মরহুম বেলাল আহম্মেদের কর্ণিয়াদ্বয় দুইজন দৃষ্টিহীন ব্যক্তির চোখে প্রতিস্থাপন করেন। দৃষ্টি ফিরে পাওয়া দুই রোগী হলেন—পিরোজপুরের আকাশ শেখ (২১) ও শরীয়তপুরের আলামিন (৩০)।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনটি ৪,১৮৮টি কর্ণিয়া সংগ্রহ করে ৩,৫২৫ জন অন্ধ মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ ফজলুল হক কাশেম ও মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ মনির হোসেন মরহুম বেলাল আহম্মেদের পরিবারের মানবিক উদ্যোগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, “এই উদাহরণ অনুসরণ করে আরও মানুষ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে দেশে দৃষ্টিশক্তিহীনতার অন্ধকার অনেকটাই দূর হবে।”
তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সর্বস্তরের জনগণকে মরণোত্তর চক্ষুদানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন