Ad
Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫


অ্যানথ্রাক্স বিস্তার রোধে মাঠে নেমেছে ৬০টিরও বেশি মেডিক্যাল টিম

Main Image

ছবিঃ প্রতীকী


দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় রোগটির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন এ অধিদপ্তর জরুরি ও সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিয়ে টিকাদান, নজরদারি ও সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করেছে।

 

অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত জুনোটিক রোগ, যা গবাদিপশু থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও প্রশাসনের সমন্বয়ে গবাদিপশুর টিকাদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উঠান বৈঠক, পথসভা, লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

গবাদিপশুর তড়কা রোগ প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ে আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ, অসুস্থ পশু জবাই প্রতিরোধ এবং প্রতিটি খামারের পশুকে টিকার আওতায় আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

‘ওয়ান হেলথ’ কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসচেতনতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত উঠান বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছেন। অসুস্থ পশু জবাই না করা, মৃত পশুকে খোলা স্থানে বা পানিতে না ফেলা বরং গভীরভাবে মাটিচাপা দেয়া এবং যে কোনো পশুজনিত অসুস্থতার ক্ষেত্রে দ্রুত নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতাল বা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাকে অ্যানথ্রাক্সপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (এলআরআই) রংপুর বিভাগে প্রায় ৩০ লাখ অ্যানথ্রাক্স টিকা সরবরাহ করবে, যার মধ্যে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাতেই ২০ লাখ টিকা প্রেরণ করা হবে।

 

রংপুর জেলার নয়টি উপজেলায় পীরগাছা (৫৩,৪০০), কাউনিয়া (৩৪,০০০), রংপুর সদর (২৬,৫০০), মিঠাপুকুর (৩৪,৫০০), গংগাচড়া (৪,৮০০), তারাগঞ্জ (৪,৩০০), বদরগঞ্জ (৫,০০০) ও পীরগঞ্জ (৫,০০০) এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার গরুর শরীরে টিকা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি উঠান বৈঠক, পথসভা, প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ৩৬টি কসাইখানায় গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৩৬টি মেডিক্যাল টিম এবং টিকাদানের জন্য ৩২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

 

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৪০০ গরুর শরীরে টিকা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মৃত গরু পুঁতে ফেলা, টিকাদান, মাইকিং, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৫টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন