
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার উদ্যোগ চলছে। সেখানে তাঁর একটি জটিল অস্ত্রোপচার করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার আগে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়া আবশ্যক।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওসমান হাদির মাথায় অত্যন্ত জটিল একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তবে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ নেই বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালকে তুলনামূলকভাবে উপযোগী মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) আইনজীবী সাইফ উদ্দিন খালেদ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হাদিকে ইউকে আনার চেষ্টা চলছে। সবার কাছে দোয়ার অনুরোধ।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-এর মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যথাযথভাবে সম্ভব নয়। তাঁর মতে, বর্তমানে যে অস্ত্রোপচারটি জরুরি, তার উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল বা মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেই। তিনি আরও লেখেন, ওসমান হাদিকে যদি কোনোভাবে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া যায়, তবে সেটিই হতে পারে শেষ একটি চেষ্টা। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরতদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
সূত্র জানায়, শুরুতে ইনকিলাব মঞ্চ এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী ওসমান হাদিকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সরকারও দ্রুত সক্রিয় হয়েছে। এ বিষয়ে একজন উপদেষ্টা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে সব উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা উপযোগী কি না—সে বিষয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সম্মতি। চিকিৎসকরা যদি ভ্রমণের অনুমতি না দেন, তবে তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার চেষ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন