Ad
Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫


অসহায় রোগীদের পাশে সরকার, বাড়ছে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


দরিদ্র, অসহায় ও আর্ত-মানবতার সেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালিত 'হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম'কে আরও সহজ ও কার্যকর করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

 

তিনি বলেন, “সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালিত ‘হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেবা, যা দরিদ্র, অসহায় ও আর্ত-মানবতার সেবার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এ কার্যক্রমকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হচ্ছে।”

 

সভায় আরও বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিপুলসংখ্যক রোগীর আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি অনেকের মোটিভেশন, কাউন্সেলিং, ফলোআপ কিংবা চিকিৎসা শেষে পুনর্বাসনের মতো সামাজিক সেবারও দরকার হয়। এজন্য হাসপাতালকেন্দ্রিক কার্যক্রমে দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জোরদার করা জরুরি।”

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ সভায় বলেন, “গরিব রোগীদের সাহায্য করা আমাদের সবার দায়িত্ব। বর্তমানে সারা দেশে ৫৩৮টি ইউনিটে এ কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ১১৮টি জেলা হাসপাতাল এবং ৪২০টি উপজেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নিবন্ধিত ‘রোগীকল্যাণ সমিতি’র মাধ্যমে এ সেবাগুলো কার্যকর করা হয়।”

 

সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান সভায় বলেন, “মূলত ছয়টি রোগের চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। এর মাধ্যমে বছরে ৬০ হাজার রোগীকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের আবেদনকারীরা শতকরা ৭৫ ভাগ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সরাসরি আবেদনকারীরা শতকরা ২৫ ভাগ অর্থ সহায়তা পান।”

 

সভায় জানানো হয়, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়গুলো থেকে এখন পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বা আহত ২ হাজার ৬৩৭ জনকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সভায় রোগীকল্যাণ সমিতির কার্যক্রম সচল রাখা, সমাজসেবা কার্যক্রম আরও দৃশ্যমান করা, যাকাতসহ অন্যান্য উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি, এবং লোকবল ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ও বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ।

আরও পড়ুন