ছবিঃ প্রতীকী
মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গেছে যুগে যুগে। একসময় মানুষ প্রকৃতির সন্তান হয়ে খালি পায়ে হেঁটেছে মাঠে, নদীর পাড়ে কিংবা বনের ভেতর দিয়ে। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মাটির সেই সরাসরি স্পর্শ ঢেকে গেছে চামড়া, কাপড় কিংবা আধুনিক প্রযুক্তির জুতোর আবরণে। এখন প্রশ্ন উঠছে আসলে কোন পথ আমাদের জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর? খালি পায়ে চলার প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা, নাকি আধুনিক জুতোর সুরক্ষিত আরাম?
খালি পায়ে হাঁটা কেবল একটি শারীরিক অভ্যাস নয়, এটি একপ্রকার প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার অনুভূতি। মাটি বা ঘাসের প্রতিটি দানা, শীতল শিশির কিংবা কাঁচা মাটির উষ্ণতা সবকিছুই শরীরকে ভিন্নভাবে জাগিয়ে তোলে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ
তবে এ সব উপকারিতা সবার জন্য সমান নয়। ডায়াবেটিস, নিউরোপ্যাথি বা পায়ের বিকৃতির মতো সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খালি পায়ে হাঁটা হতে পারে বিপজ্জনক।
সভ্যতার বিকাশে মানুষ শুধু অলঙ্কার নয়, বরং প্রয়োজন থেকেই জুতোর ব্যবহার শুরু করেছে। আজকের আধুনিক জুতো বিজ্ঞানের এক বিস্ময়।
জুতোর উপকারিতা
আজকাল আবার “মিনিমালিস্ট শু” বা “বেয়ারফুট শু” জনপ্রিয় হচ্ছে, যেগুলো জুতোর সুরক্ষা বজায় রেখেও খালি পায়ে হাঁটার মতো অনুভূতি দেয়।
সবার জন্য একক উত্তর নেই। আপনি যদি শক্তিশালী পেশি, ভালো ভারসাম্য এবং প্রকৃতির ছোঁয়া চান খালি পায়ে হাঁটা হতে পারে আদর্শ। তবে শুরুতে নরম ঘাস বা পরিষ্কার বালুকাবেলায় হাঁটা নিরাপদ।
একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি
সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে পরিস্থিতি অনুযায়ী খালি পা ও জুতোর মেলবন্ধন।
খালি পা হোক বা জুতো প্রতিটি পদক্ষেপেই আসল বিষয় হলো শরীরের ডাক শোনা। পায়ের সঙ্গে মাটির সম্পর্ক যতটুকু গভীর, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ তাকে সুরক্ষিত রাখা। তাই সঠিক স্বাস্থ্যচর্চা হলো এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে নেওয়া। অবশেষে, সুস্থতার পথে সবচেয়ে নিরাপদ দিশা পেতে হলে নিজের জীবনধারা, শারীরিক অবস্থা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মিলিয়েই বেছে নিতে হবে আপনার পথচলার রূপ।
আরও পড়ুন