ছবিঃ সংগৃহীত
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন কমিশনের প্রধান এবং জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
গত ৩ আগস্ট (রোববার) পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে - ১. স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন, ২. স্বাধীন ও স্থায়ী বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন গঠন, যা স্বাস্থ্যখাতের পরিকল্পনা, মাননিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহির দায়িত্ব পালন করবে এবং সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট করবে, ৩. প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিগত, প্রশাসনিক, কাঠামোগত ও বাজেটীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
চিঠিতে অধ্যাপক আজাদ উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ৫ মে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এমনকি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমিশনের আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও হয়নি বলে জানান তিনি।
তিনি আরও লিখেছেন, কমিশনের সুপারিশসমূহ স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব ও নীতিগত সংকট থেকে উত্তরণের বাস্তবমুখী ও সুসংহত রূপরেখা দিয়েছে। তাই কমিশনের সম্পৃক্ততা ছাড়া সুপারিশ বাস্তবায়ন একটি অসম্পূর্ণ ও অকার্যকর প্রক্রিয়ায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চিঠির শেষ অংশে অধ্যাপক আজাদ উল্লেখ করেন, “আপনি যেমন এই জাতীয় সংকটে মানবিকতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তেমনি স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে আপনার দৃঢ় ভূমিকা একটি কার্যকর ও জনআস্থাভাজন স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন