Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫


জুলাই সনদে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যুক্ত করার আহ্বান ছয় বিশিষ্টজনের

Main Image

ছবিঃ প্রতীকী


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে খোলাচিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট ছয় বিশিষ্টজন। খোলাচিঠিতে তাঁরা স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ চিঠি প্রকাশ করেন স্বাক্ষরকারী ছয়জন। তাঁরা বলেন, জাতির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব কেবল প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়, বরং এক গভীর নৈতিক দায়িত্বও বহন করে। বর্তমান সরকারব্যবস্থা যেন আরও স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক হয় এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাঁরা।

 

চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য খাত একক মন্ত্রণালয় বা সেবার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। এটি জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ, যা মানবসম্পদের বিকাশ, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক নিরাপত্তার ভিত্তি গড়ে তোলে। একটি কার্যকর ও ন্যায়ভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা ছাড়া জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয় বলেও মত দেন তাঁরা।

 

তাঁরা স্বীকার করেন, বিগত কয়েক দশকে স্বাস্থ্য খাতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে কাঠামোগত দুর্বলতা, শাসনে বিচ্যুতি এবং স্বচ্ছতার অভাব বারবার অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কেবল সেবার মান উন্নয়ন নয়; বরং এটি একটি সমন্বিত রূপরেখা, যা কাঠামোগত সমস্যা নিরসন, প্রশাসনিক জবাবদিহি এবং প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টেকসই ভিত্তিতে দাঁড় করাতে সক্ষম।

 

সুপারিশগুলো জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, তা হলে এ সিদ্ধান্ত হয়ে উঠবে ভবিষ্যতের প্রতি এক শক্তিশালী অঙ্গীকার। পাশাপাশি, তাঁরা স্বাধীন ও শক্তিশালী স্বাস্থ্য কমিশন গঠন, শহর ও গ্রামে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।

 

তাঁদের মতে, এসব প্রস্তাব ২০২৫ সালের মধ্যভাগে গ্রহণ করলে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সরকারি আদেশ বা অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব। আর ২০২৬ সালের শুরুতেই কাঠামোগত পরিবর্তনের দৃশ্যমান অগ্রগতি জনগণের সামনে তুলে ধরা যাবে।

 

চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন: স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন, লিয়াকত আলী, নায়লা জামান খান, আজহারুল ইসলাম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

আরও পড়ুন