Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫


ডব্লিউএইচও'র মহামারি সংক্রান্ত সংস্কার থেকে সরে দাঁড়াল যুক্তরাষ্ট্র

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


বিশ্বব্যাপী মহামারি মোকাবিলায় জোরদার প্রস্তুতির লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) যে নতুন বিধিনিষেধ চালু করেছিল, সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং স্বাস্থ্য ও মানবসেবা সচিব রবার্ট এফ কেনেডি। তারা জানান, “আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা যেন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নীতিতে হস্তক্ষেপ না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।”

 

২০২৪ সালে গৃহীত সংশোধিত আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধিতে (IHR) মহামারি ঘোষণার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা, তথ্য আদান-প্রদানে স্বচ্ছতা এবং দরিদ্র দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী সহজলভ্য করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এসব সংশোধনীতে অনেক শব্দ ও ধারা অস্পষ্ট এবং অনেকাংশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের ভাষায়, “এই সংস্কার কার্যকর পদক্ষেপের চেয়ে একাত্মতা ও ঐক্যের মতো রাজনৈতিক বিষয়কে গুরুত্ব দেয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ।”

 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে।

নতুন সংশোধনীগুলোর আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি আন্তর্জাতিক ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ তৈরির কাজ শুরু করেছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ সম্পর্কিত স্বাস্থ্যতথ্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এসব তথ্য শেয়ার করা হবে স্বেচ্ছাভিত্তিতে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “এই বিধিনিষেধ আমাদের নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা, গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের ঝুঁকি তৈরি করে। আমরা কখনোই এমন কোনো আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে নেব না যা আমেরিকানদের অধিকার ক্ষুণ্ন করে।” 

 

বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭ কোটি মানুষের প্রাণ কাড়া কোভিড-১৯ মহামারির পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে একটি সম্মিলিত প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করে। তবে মে মাসে যখন এ বিষয়ে আলাদা একটি চুক্তি গৃহীত হয়, তখনও যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, “মহামারি কোনো সীমান্ত মানে না তাই একে প্রতিহত করতে দরকার একসাথে কাজ করা।” কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার নীতিতেই অটল রয়েছে।

আরও পড়ুন