ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান মাস’ উপলক্ষে র্যালি, বৃক্ষরোপণ এবং সমাবেশসহ মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির সূচনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এরপর বৃক্ষরোপণ এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
বিএমইউ কর্তৃপক্ষ জুলাই মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ দিবস উপলক্ষে ডকুমেন্টারি ও স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, রক্তদান, ফ্রি স্ক্রিনিং ও রক্তদাতা নিবন্ধন, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বহির্বিভাগে বিনামূল্যে চিকিৎসা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভিসি অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই ছিল অস্থিরতা ও দমন-পীড়নের। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। এখন সময় এসেছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। আরও দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, চিকিৎসার মান উন্নত করতে হবে।”
প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটাকেও দলীয়করণ করেছিল। ছাত্র আন্দোলনে পৈশাচিক হামলা চালানো হয়, যার ফলেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত হয়।”
প্রো-ভিসি (গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সফল করেছে। আমরা তাদের আত্মত্যাগের সুফলভোগী।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, “আমরা আজ যেসব উচ্চপদে আছি তা সম্ভব হয়েছে আন্দোলনের সফলতার কারণে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে বলছি, দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিন অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন, প্রক্টর ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. ইকবাল মাহমুদ রনি, ডা. সাখাওয়াত হোসেন, পরিচালক (অর্থ) খন্দকার শফিকুল হাসান রতনসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন