ছবিঃ সংগৃহীত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ শনাক্তে নির্ধারিত ফি কঠোরভাবে অনুসরণে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত বছরের নির্ধারিত ফি ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার (NS1, IgG ও IgM) ফি ৫০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিটি পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারিত থাকবে। পাশাপাশি, সিবিসি (CBC) পরীক্ষার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৪০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এই নির্ধারিত ফি থেকে কোনও অবস্থাতেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। যদি এর ব্যত্যয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু এনএস-১ পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয় ১০০ টাকা এবং বেসরকারিতে ৩০০ টাকা। তারও আগে ডেঙ্গু পরীক্ষা ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাময়িকভাবে সরকারি হাসপাতালে ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা পরবর্তীতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এবার তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর রাখা হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠিতে আরও বলা হয়, বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। জেলার সদর হাসপাতালে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চারজন চিকিৎসক বরগুনা সদর হাসপাতালে পদায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অধিদফতর জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগীই দেরিতে চিকিৎসা নিতে এসেছেন, যার ফলে রোগ জটিল আকার নিচ্ছে। এ অবস্থায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন