ঢাকার বহুতল ভবনের ৫৮.৮৮ শতাংশে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যেখানে গত বছর মে মাসে এই হার ছিল ৪২ শতাংশ। এক বছরে এই হার ১৬ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত ঝুঁকির সীমার উপরে।
বুধবার (১৮ জুন) আইইডিসিআরে ২০২৪–২৫ বছরের ডেঙ্গু কীটতাত্ত্বিক জরিপের ফলাফল সংক্রান্ত উপস্থাপনা, মিডিয়া ব্রিফিং ও মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ ৮টি জেলায় পরিচালিত এডিস মশার কীটতাত্ত্বিক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক CDC, IEDCR, হাসপাতাল, NIPSOM এবং গণমাধ্যম থেকে প্রতিনিধি।
IEDCR, MOHFW কর্তৃক পরিচালিত এ জরিপে ৩,১৪৭টি বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ৪৬৩টিতে ডেঙ্গুর বাহক লার্ভা পাওয়া যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বহুতল ভবন, নির্মাণাধীন ভবন এবং ফুলের টব ও ট্রেতে জমে থাকা পানিতে সবচেয়ে বেশি এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। জরিপে উঠে এসেছে- ঢাকার ছয়টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব আশঙ্কাজনক মাত্রায়।
জরিপে ঝিনাইদহ, মাগুরা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী- এই এলাকাগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে মশার লার্ভার উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রধান বাহক এডিস অ্যাজিপ্টাই মশা এবং ঢাকার বাইরে এডিস অ্যালবোপিক্টাস নামক মশা এটি বেশি বহন করে।
জরিপে উঠে আসে- ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে ঝিনাইদহ (৬০%), মাগুরা (৫৫.৫৬%), পিরোজপুর (২০%) ও পটুয়াখালী (১৯.২৬%)। ঝিনাইদহে ২৭০টি বাড়ি পরিদর্শনে ১৬২টি পাত্রে, মাগুরায় ১৫০টি, পিরোজপুরে ৫৪টি এবং পটুয়াখালীতে ৫২টি পজিটিভ কনটেইনার পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন