রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব কিছুদিন থেকে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। ইতিমধ্যে বরিশাল বিভাগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। এরই মাঝে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা যায় ঢাকার দুই সিটির ১৩টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়েও বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার আওতাধীন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীন গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে চালানো প্রাক-বর্ষা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- ১২, ২, ৮, ৩৪, ১৩, ২২ নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩১, ৪১, ৩, ৪৬, ৪৭, ৪, ২৩ নং ওয়ার্ড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার ব্রুটো ইনডেক্স সর্বোচ্চ, ২৬.৬৭ শতাংশ। এই ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই তালিকায় পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে ২, ৮ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে ব্রুটো ইনডেক্স ২৩.৩৩ শতাংশ। এছাড়া ১৩ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই হার ২০ শতাংশ—যা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মানদণ্ড অনুযায়ীও বিপদসীমার অনেক ওপরে। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডেও পরিস্থিতি একই রকম। এই দুই ওয়ার্ডেও ব্রুটো ইনডেক্স ধরা পড়েছে ২৬.৬৭ শতাংশ। এছাড়া ৩, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি ২৩.৩৩ শতাংশ, এবং ৪ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আরও পড়ুন