অবিলম্বে ১১ মাসের বকেয়া ভাতা চেয়ে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সে (বিসিপিএস) অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বঞ্চিত এফসিপিএস পার্ট-২ ট্রেইনি চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টা থেকে মহাখালীর বিসিপিএস ভবনের সামনে তারা অবস্থান নেন। দাবি আদায় না হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা জুলাই-২০১৯ সেশনে এফসিপিএস পার্ট-১ উত্তীর্ণ হন। তাদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সম্মানী পাওয়ার কথা থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে ৭২ জন চিকিৎসককে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে প্রাপ্য ভাতা আদায়ের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
তারা আরও জানান, বারবার যোগাযোগ সত্ত্বেও বিসিপিএস কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মানেননি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে গেলে জানানো হয়, এটি তাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। বিসিপিএস যে তালিকা দেয়, মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী ভাতা বরাদ্দ দেয়।
এ ছাড়াও বিসিপিএস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানি, ভুল তথ্য প্রদান ও ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার অভিযোগ জানান আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জরুরি প্রয়োজনে প্রশিক্ষণকালীন ছুটি দেওয়া হয় না। এমনকি চিকিৎসকদের কেউ অসুস্থ হলে, ১০ দিনের ছুটিও মঞ্জুর করা হয় না। বলা হয়, তোমরা পরের সেশন থেকে আবার জয়েন করো। এক মাসের অনুপস্থিতির জন্য পাঁচ মাসের সম্মানী বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের সেশনে আবার জয়েন করতে হয়।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের জুলাই সেশন থেকে প্রশিক্ষণরত এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা প্রদান শুরু করে বিসিপিএস। শুরুতে মাসিক ভাতা দেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ৫ বছর মেয়াদে প্রযোজ্য এই ভাতা ছয় মাস পরপর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন