আজ মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার, পৃথিবীব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব অ্যাজমা দিবস’। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (এওঘঅ) দ্বারা এই দিনটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালিত হচ্ছে। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতন করা। বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথম পালিত হয় ১৯৯৮ সালে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। বিশ্বে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর প্রায় ৭-১০ শতাংশ শিশু। রোগটি প্রায় ৭-৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে। প্রায় প্রতি বছর দুই লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ রোগী হাঁপানি রোগের জটিলতায় মারা যায়। বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে আরও ১০০ মিলিয়ন যোগ হতে পারে। বাংলাদেশ প্রায় ৭-৮ মিলিয়ন মানুষ শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। যার ৭.৫% সাড়ে সাত পারসেন্ট ১-১৫ বছরের শিশু হাঁপানি রোগে আক্রান্ত।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সকলের জন্য ইনহেলড চিকিৎসা সহজলভ্য করুন’, হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় ইনহেলড ওষুধের আরও ভালো অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।’
অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালীর অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালী অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয়, তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়।
বর্তমানে বংশগত কারণের চেয়ে পরিবেশগত কারণেই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে। মূলত শিশু ও বয়স্করাই অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
একটা সময় জন্মগত অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন পরিবেশদূষণ, বায়ুদূষণ, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারের কারণে অ্যাজমা রোগী বাড়ছে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসনালীর এক ধরনের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া। বংশানুক্রমিকভাবে এই রোগে আক্রান্ত সন্তান, যাদের শ্বাসনালী খুবই সেনসেটিভ, বিভিন্ন উত্তেজক বস্তু বা অ্যান্টিজেনের সংস্পর্শে এসে উত্তেজিত হয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে তাদের শ্বাসনালীর মধ্যে কফের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শুরু হয় লাগাতার কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন