স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (DGHS) তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৫,২৩৩টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে মাত্র ৪,১২৩টি তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেছে। এবং ১,০২৭টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে।
এ দেশে লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান চলছে এটা বহির্বিশ্বে কল্পনায় করা যায় না। এমন লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবার মান এবং ল্যাব টেস্টের মান কেমন হবে সেটা অনুমেয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো নবায়ন ছাড়ায় চলছে সে বিষয়ে কি সাধারণ নাগরিকদের জানানো হয়েছে?
হঠাৎ যখন সংবাদমাধ্যমে নিউজ হবে "হাসপাতালে... রোগী মারা গেছে" তখন তদন্ত করতে গিয়ে বের হবে লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল সেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক। এর দায়ও কি চিকিৎসকের?
লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে অনেক প্রতিষ্ঠান দালাল নির্ভর। দালালরা শহরে চিকিৎসা নিতে আসা গ্রামের সহজ সরল নাগরিকদের এসব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ভর্তি করে তারা পার্সেন্টেজ পাচ্ছে।
এদিকে কোন কিছু হলেই চিকিৎসকদের দায়ী করা হলেও সাধারণ মানুষ জানেন ই না চিকিৎসকরা এসব প্রাইভেট হাসপাতাল আর ক্লিনিকের কাছে অনেকসময় জিম্মি। মানহীন হাসপাতাল এবং ক্লিনিক বন্ধ না করতে পারলে এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি দিনদিন সাধারণ মানুষ আস্থা হারাতেই থাকবে।
লেখকঃ
ডা. কামরুজ্জামান নাবিল
সাবেক শিক্ষার্থী, ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান।
আরও পড়ুন ঃ
আমার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার ভাবনা: ১
আরও পড়ুন