মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ভাবার আগে তাদের কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট জবের সুযোগ আছে কী না তা নিয়ে ভাবতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান রক্ষা হচ্ছে কী না তা নিয়মিত মনিটরিং করা জরুরি। মানহীন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আসা উচিত।
জুনিয়র শিক্ষকদের পাঠদান স্কিল বাড়াতে নিয়মিত পাঠদান ওয়ার্কশপের আয়োজন করা যেতে পারে। প্রাক্টিক্যাল ক্লাসগুলোকে আরও গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি ল্যাবের ক্লাসগুলোকেও আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।
মেডিকেল কলেজের সংখ্যা না বাড়িয়ে কীভাবে বর্তমান কলেজগুলোর জনবল ও মান বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।
এর পাশাপাশি সম্ভব হলে বিভাগীয় শহর কেন্দ্রিক পুরনো কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করে সেখানে পোস্টগ্রাজুয়েশন কোর্স চালু করার চিন্তা করা যেতে পারে।
এমবিবিএস লেভেলে শিক্ষার্থীদের রিসার্চ মেথড ও মেডিকেল এথিক্স নিয়ে আরও বেশি এক্টিভিটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী শুধু একজন চিকিৎসক নই একজন রিসার্চারও হবেন এমন ভাবনা লালন করা।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ইরানে শিক্ষার্থীরা একদিন বাইরের কাজে লাগাতো আর অন্যদিন বাসায় অবস্থান করতো। ডিপ্রেশনে থাকা এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান এবং কাউন্সিলিং করার জন্য আলাদাভাবে নজর দেয়া উচিত।
ডা. কামরুজ্জামান নাবিল
ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান।
আরও পড়ুনঃ আমার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার ভাবনা: ১
আরও পড়ুন