Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫


আমার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার ভাবনা: ১

Main Image


আমার ইরানে মেডিকেলের সাত বছরে একবার মাত্র হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের দেখেছিলাম। 
 

ইরানি চিকিৎসকরা ওষুধের জেনেরিক নাম লিখে দেন আর ফার্মেসিতে যারা থাকেন তারা ফার্মেসি থেকে অনার্স করা ফার্মাসিস্টরা যেটার মান ভালো সেটা ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেন। 
 

ইরানি নাগরিকদের সবার চিকিৎসাক্ষেত্রে সাধারণ বীমা রয়েছে যে-সব ওষুধ বীমা কভার করে এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হলে কম মূল্যে তারা তা পেয়ে থাকেন। 
 

ইরানের ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওষুধের মান মনিটরিং এর জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। মানের ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। নাগরিকের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে এমন বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হয় না। এজন্য ওষুধের কার্যকরীতাও ভাল।  
 

ফার্মেসিগুলোতে নির্দিষ্টসংখ্যক গ্রাজুয়েশন করা ফার্মাসিস্টদের রাখা বাধ্যতামূলক। ফার্মাসিস্টদের গলায় আইডি কার্ড এবং অ্যাপ্রোন ড্রেস পড়তে হয়। উল্লেখ্য যে,  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেও ফার্মাসিস্টরা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন না। 
 

কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলে ফার্মেসি সিলগালাসহ কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হয়। নিজের সম্মান এবং দোকানের সম্মান রক্ষার্থে ইরানে নিয়ম বহির্ভূত কাজ খুবই কম দেখেছি। 
 

লেখকঃ 

ডা. কামরুজ্জামান নাবিল
ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান।

আরও পড়ুন