সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
মানিকগঞ্জে দীর্ঘ ৯ মাস পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খানসহ ২১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেরাব হোসাইন বাদী হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর এ মামলা করেন। মামলাটি মানিকগঞ্জ সদর থানা অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখযুক্ত আসামিরা আরও হলেন, মানিকগঞ্জের ১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, এস এম জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র রমজান আলী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুদেব সাহামানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক জহিরুল করিম, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার বাহাউদ্দিন, সাবেক ওসি হাবিল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ২১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাইয়ের ১৮ তারিখে সকাল দশটায় মানিকগঞ্জ জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা মানিকগঞ্জ খাল-পাড় ব্রীজের আসামীরা বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াাস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র মিছিলে হামলা করে। এতে আন্দোলনকারী মো. আরমান হোসাইন, হাসনা হেনা, মাহফুজ হোসাইন, তন্ময় সহ অনেককেই কুপিয়ে আহত করে। ওই দিন বেলা ১২ টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের মানরা এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন ইউনিটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। এসময় সাবেক সাংসদ জাহিদ মালেক ও সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খানের নেতৃত্ব ও হুমকিতে সকল আসামিরা আওয়ামী পন্থী পুলিশ বাহিনীর সহায়তা ছাত্র জনতাকে হত্যা উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আওয়ামীলীগের দোষর ডাক্তার ও নার্সরা আহতদের চিকিৎসা দেয়নি।
মামলার বাদী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেরাব হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস পর মামলা করার পিছনে কারণ হলো আসামিদের তথ্যউপাত্ত ও ভিডিও ফুটেজসহ প্রমাণ সংগ্রহের জন্য দেরি হয়েছে। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
কোর্ট ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন আদালতে সি আর মামলা করেছেন। আদালতের বিচারক মামলাটি সদর থানা অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
