Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫


সেগমেন্টাল পাশ ও ভর্তি ফি কমানোর দাবির সাথে একমত এনডিএফ, ভিসির সঙ্গে বৈঠক

Main Image

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনডিএফ বিএমইউ শাখার সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল


রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের দাবি– সেগমেন্টাল পাশ, ক্যারিঅন চালু, পরীক্ষা ও ভর্তি ফি কমানো, পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারসহ ৭ দফার প্রতি একাত্মতা জানিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এসব দাবি পূরণে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনডিএফ বিএমইউ শাখার সভাপতি ডা. আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

 

প্রতিনিধি দলটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ৭ দফা যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবি মানার ব্যাপারে প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। তিনি বলেন, আগামী একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হবে এবং যৌক্তিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

 

সাক্ষাৎ শেষে এনডিএফ বিএমইউ শাখার নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এসব যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শিক্ষার্থীদের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এই সংস্কারগুলো সময়ের দাবি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

 

চিকিৎসকদের সাত দফা দাবি হচ্ছেঃ 

 

১. রেসিডেন্সি ও নন-রেসিডেন্সি সংস্কার কমিটি গঠন : যুগোপযোগী কোর্স কারিকুলাম, হাতে-কলমে ট্রেইনিং, ই-লগবুক, সমান সুযোগ-সুবিধা, নির্ধারিত বেতন কাঠামো, ইনক্রিমেন্ট, উৎসব ও চিকিৎসা ভাতাসহ একটি সমন্বিত ব্যবস্থার দাবি করা হয়। কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স টিম গঠন ও ট্রেনিংয়ের স্বীকৃতিও অন্যতম দাবি।

 

২. সেগমেন্টাল পাস চালু : ২০২৫ সালের জানুয়ারি সেশন থেকেই সেগমেন্টাল পাস চালুর দাবি জানানো হয়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থী একটি পার্টে ফেল করলেও পাসকৃত পার্টের ফল ধরে রেখে পরবর্তীতে ফেল করা পার্টে পুনঃপরীক্ষার সুযোগ পাবেন।

 

৩. পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার : আন্তর্জাতিক মানে পরীক্ষার আধুনিকায়ন, পাস রেটের অসামঞ্জস্য দূরীকরণ, ফলাফল দ্রুত প্রকাশ, পরীক্ষক ও প্রশিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং রিভিউ সিস্টেম চালুর দাবি রয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও পরীক্ষাকেন্দ্র চালুর দাবি উঠে আসে।

 

৪. ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক সংস্কার : ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা নির্ধারণ, ইন্টার্নশিপ পরবর্তী এক বছর অপেক্ষার শর্ত বাতিল, মাল্টিপল সাবজেক্ট চয়েজ, ওয়েটিং লিস্ট এবং মাইগ্রেশন সিস্টেম চালুর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

 

৫. ফেইজ-এ, ফেইজ-বি এবং ডিপ্লোমা পরীক্ষার সংস্কার : পরীক্ষা ফি সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা এবং ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকায় সীমিত রাখা, সরকারি চিকিৎসকদের জন্য ডেপুটেশনের সময় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিতকরণের দাবি জানানো হয়।

 

৬. ক্যারিঅন সিস্টেম চালু : কোনো পরীক্ষায় ফেল করলে শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছরের ক্যারিঅন সিস্টেম চালুর দাবি করা হয়, যাতে তারা ট্রেনিং চালিয়ে যেতে পারেন এবং পরবর্তীতে শুধু ফেল করা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

 

৭. ডিপ্লোমা ডিগ্রির নাম পরিবর্তন : আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রির নামকরণ ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা জোরদার করার দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন