বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা কমপক্ষে ৫০ হাজার করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত ইফতার মাহফিল ২০২৫ এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই দাবি জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমি একবার বলেছিলাম, পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের বেতনকে কমপক্ষে ৫০ হাজার করতে হবে। ৩৫ হাজার টাকা করেছে, আমি শুনেছি। কিন্তু এই দাবিকে অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের পক্ষ থেকে বসেছিলাম। সেই বৈঠকেও এই দাবির কথা তুলে ধরা হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, উপদেষ্টাকে বলে আসছি, প্রমোশন, পোস্টিং, ট্রান্সফার- এগুলো আপনি অটো সিস্টেমে দিয়ে দেন। প্রমোশন, পোস্টিংয়ের জন্য উপদেষ্টা পর্যন্ত দৌড়াতে হলে ডাক্তাররা উপজেলা- থানায় থাকবেন কিভাবে? প্রমোশন, পোস্টিং, ট্রান্সফারকে অটো সিস্টেম করে দিতে হবে। এর ফলে যার যখন যেটা প্রাপ্য, সেটা সে পেয়ে যথা সময়ে যাবে। এ বিষয়ে সেট থাকবে, অ্যাপস থাকবে- সব অটো পেয়ে যাবে।
চিকিৎসকদের উপজেলায় থাকতে আগ্রহী করার বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা থেকে তদবিরের জন্যে আপনার অফিসে আসতে হয়। আমি স্পষ্ট বলেছি, অটো সিস্টেম তৈরি করেন, যার যেটা প্রাপ্য, যার যেখানে বদলি হওয়ার কথা, অ্যাপসে থাকবে, তা অটোমেটিক হয়ে যাবে। দ্বিতীয় কথা হলো, থানায় ডাক্তার থাকে না কেন, এর পেছনে অনেক কারণ। তার মধ্যে বেতন কম, ঢাকা মেডিকেলে পড়েছে, সেখানে ফকফকা লাইট, ইউনিয়ন পরিষদে দিয়েছেন, সেখানে মোমবাতি—সে তো চোখেই দেখে না। এ রকম অবস্থায় মানুষ অস্বস্তি অনুভব করে। তখন সে সেখানে থাকতে চাইবে না। তারপরও আমি বলেছি, টিএইচের (ইউএইচএফপিও) রুমে সিসি ক্যামেরা লাগাবেন এবং প্রত্যেকের স্বাক্ষর করার পদ্ধতি রাখবেন। প্রতি সপ্তাহে সিভিল সার্জনের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চলে যাবে। প্রত্যেকে স্বাক্ষর করেছে কিনা, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিভিল সার্জন ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’
‘আমরাতো কিছুই করছিনা, কি করা যায়, কি করা যায়- বলে আমরা শুধু চর্চা করছি সমস্যার। কি করা যায় বলাটা সমাধান না, কাজটা বাস্তবায়ন করাটা সমাধান। আমি মনে করি সংস্কার কমিশনে এগুলো থাকা উচিত।’—যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন