বাদুড়ের দেহে শনাক্ত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস কয়েক বছর আগে শনাক্ত হওয়া মহামারি করোনার মতোই
বাদুড়ের দেহে শনাক্ত হওয়া নতুন করোনাভাইরাসও কয়েক বছর আগে শনাক্ত হওয়া মহামারি করোনার মতোই। এটিও আগের ভাইরাসের মতোই একইভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এরপর এই ভাইরাসও কোষকে আক্রান্ত করে মানুষকে অসুস্থ করে। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য, এটি আগের করোনার মতো এত ভয়াবহ নয়। সূত্রঃ বার্তা সংস্থা রয়টার্স
গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের দেহে পাওয়া এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত। বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির শুরু দিকে এই ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে চীন। ২০২৩ সালে আমেরিকা উহানের ল্যাবটির জন্য সহায়তা স্থগিত করে দেয়।
গবেষকরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাস মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে পাওয়া প্রোটিনের সঙ্গে মিলে কোষগুলোকে সংক্রমিত করতে পারে। এর সঙ্গে করোনাভাইরাস গোত্রীয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) ভাইরাসের মিল রয়েছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীন থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এতে বিশ্বের ৭০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
এবার সেই ভাইরাসের মতোই আরেকটি ভাইরাস শনাক্ত হলো। এই ভাইরাসের খবর প্রকাশিত হতে না হতেই শেয়ারবাজারে বেড়েছে করোনার কিছু টিকার শেয়ারের দাম। শুক্রবার শেয়ারবাজারের এই তথ্য জানা যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আগের ভাইরাসের মতোই একইভাবে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করলেও এটি এত সহজে ঢুকতে পারে না বলেই জানিয়েছেন গবেষকেরা।
প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারলেও মানুষ থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করা নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষকেরা। এ ব্যাপারে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ গবেষক মাইকেল অস্টারহোম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই গবেষণা নিয়ে শুধু শুধুই এত বেশি মাতামাতি করা হচ্ছে।
তবে গবেষকেরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এর লক্ষণও করোনার মতোই। আর সেগুলো হলো, জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, হাঁচি, ঠান্ডা লাগা, ক্ষুধা হ্রাস, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও বমি। এখনো এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত না হলেও সবাইকে মাস্ক পরা ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন