বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চেষ্টারত ৪ জন বিশিষ্ট চিকিৎসক
বাংলাদেশে বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গত দুই বছর ধরে বিশ্বের তাবৎ গুরুত্বপুর্ণ লোক ও প্রতিষ্ঠানের সাথে দেন দরবার চলে আসছে। যদিও এই লক্ষ্যে পরিচালিত কর্মকান্ডগুলো সম্পূর্ণ “নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো”র পর্যায়ের।
গত ৩০/০১/২০২৪ তারিখে সেই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে একটা গোলটেবিল আয়োজন করা হয়েছিলো। সেটাতে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপের বায়োব্যাংক সংশ্লিষ্ট শীর্ষ বিজ্ঞানী ও একাডেমিসিয়ান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউরোপিয়ান ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অংশগ্রহনকারী সকলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সামর্থ্য সম্পর্কে আস্থাবান হয়ে এ লক্ষ্যে সবধরনের সহায়তা প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞানী ও দাতা সংস্থাগুলোর আগ্রহের পর এখন শুধু প্রয়োজন বিএসএমএমইউ এবং দেশের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমুহের দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ।
বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ গবেষণা সামর্থের দিক থেকে এশিয়ায় এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। গতকালের আলোচনায় আমি ethical, legal এবং social ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঝুকির বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনার পাশাপাশি এবিষয়ে আমাদের সচেতনতা ও সতর্কতার কথাও উচ্চারণ করেছি।
সবাই আশাবাদী যে যোগ্য-মানবিক-বিজ্ঞানমনস্ক-সমমর্যাদাপূর্ণ-অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনায় বায়োব্যাংক পরিচালনা করা গেলে নৈতিকতার উচ্চমান বজায় রেখেই বাংলাদেশ গবেষণার নতুন দিগন্ত তথা বিশ্বের জ্ঞানভান্ডারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে শুরু করবে।
বায়োব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেয়া শ্রম ও অন্যান্য ছোট ছোট ত্যাগগুলো “ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো” না হয়ে জীবনের দায় পরিশোধের একটা উপলক্ষ হয়ে উঠুক, এই আশায় রইলাম।
লেখকঃ
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান
চেয়ারম্যান ফার্মাকোলজি বিভাগ.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন