আবারও করোনা নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে। পার্শ্ববর্তী কিছু দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সাব-ভ্যারিয়্যান্ট (যেমন: JN.1, NB.1.8.1) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এসব ভ্যারিয়্যান্টের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
যদিও উপসর্গ অনেক সময় হালকা—সর্দি, হাঁচি, কাশি, চোখে অস্বস্তি বা একটু জ্বর—তবু অসতর্ক হলে বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য।
কীভাবে ছড়ায়?
এই নতুন ভ্যারিয়্যান্টগুলো সাধারণত হাঁচি-কাশি, স্পর্শ ও ঘনিষ্ঠ মেলামেশার মাধ্যমে ছড়ায়। ঈদের সময় যাতায়াত, ভিড়, ভারত থেকে আগত যাত্রী—সব মিলিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে। তাই বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এখনই ভয় নয়, বরং সময় সচেতনতার।
আপনার করণীয় কী?
বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে ভুলবেন না। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখুন, নাক-মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে করোনা পরীক্ষা করান। নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
শেষ কথা
করোনার নতুন রূপ এলেও —সচেতন থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মানুন। ভয় নয়, বরং দায়িত্বশীল আচরণই আমাদের রক্ষা করবে। নিজে সচেতন থাকুন, পরিবার ও সমাজকে নিরাপদ রাখুন। কোন উপসর্গ দেখা দিলে মাস্ক পরুন এবং আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।
লেখকঃ
ডা. সাঈদ এনাম
এমবিবিএস (ডিএমসি) এম ফিল (সাইকিয়াট্রি) বিসিএস (স্বাস্থ্য)
সহযোগী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি)
সিলেট মেডিকেল কলেজ
ফেলো, আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন