Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকা অনুমোদন দিল এফডিএ

Main Image

চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন দিল এফডিএ


মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইক্সচিক নামের টিকাটির অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র: এএফপি।

উল্লেখ্য, ইউরোপভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ভালনেভা প্রস্তুতকৃত ইক্সচিক এক ডোজের টিকা। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের একটি দুর্বল ও বিশেষ সংস্করণ এই টিকার মূল উপাদান।

ইতোপূর্বে ৩ পর্যায়ের মেডিকেল ট্রায়ালে এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে ভালনেভা। ট্রায়ালে অন্তত ৩ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। 

এফডিএর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পিটার মার্কস এক বিবৃতিতে বলেন, শারীরিকভাবে দুর্বল ও বয়স্ক লোকজনদের বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গের জন্য দায়ী চিকুনগুনিয়া। প্রতি বছরই বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এই রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

এফডিএ কর্তৃক এই রোগের প্রথম টিকার অনুমোদন (বৃহস্পতিবার) দেওয়া হলো। এটি চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার।’

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডেঙ্গুর মতোই চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এটি মূলত টোগা ভাইরাস গোত্রের সদস্য।  এই রোগের একমাত্র বাহক এডিস মশা। মশাবাহীত হওয়ায় এই ভাইরাসটিকে আরবোভাইরাসও বলা হয়। ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার প্রতি ১০০ জনে ৫ জন। আর চিকুনগুনিয়ায় মারা যান প্রতি এক হাজারে ১ জন। 

ডেঙ্গুর মত অতটা প্রাণঘাতী না হলেও এই রোগটি ব্যাপক শারীরিক যন্ত্রণা দিতে সক্ষম। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা রোগ সেরে যাওয়ার পরেও কয়েক মাস কিংবা অনেকক্ষেত্রে কয়েক বছর পর্যন্ত অস্থিসন্ধি বা গিঁটে তীব্র ব্যথা বোধ করেন। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, বমিভাব ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে চিকুনগুনিয়া।

আফ্রিকার দেশগুলোতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ‘চিকুনগুনিয়া’ নামটিও এসেছে আফ্রিাকাভুক্ত দেশ তানজানিয়ার মাকুন্দি জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে। সম্প্রতি অবশ্য ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং এশিয়ার মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকাতেও রোগটির উপস্থিতি বাড়ছে।

আরও পড়ুন