Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


জেনিথ ফার্মার ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস ঔষধ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে কিছু কথা

Main Image

জেনিথ ফার্মার ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস (ইনসেটে লেখক)


১। সম্প্রতি জেনিথ ফার্মা নামক একটা ঔষধ কোম্পানির একটা ঔষধ ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ঔষধটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্যকরী উপাদান নেই। পরবর্তীতে একজন আইনজীবী আবার হাইকোর্টে এটা নিয়ে রিট করেন, যাতে এই ঔষধটিকে বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়। হাইকোর্ট এই বিষয়ে আদেশ জারি করে।

২। এই বিষয়টি আমাদের সংবাদমাধ্যমে নিউজ হয়। যে নিউজগুলোর কিছু কিছু ছিলো বিভ্রান্তিকর এবং রোগীরা এটা নিয়ে কনফিউশনে পড়ছেন। প্রথমত কিছু কিছু সাংবাদিক প্রচার করেন, এই ঔষধটা এন্টিবায়োটিক। অথচ এই ঔষধটা আসলে একটা ব্যথানাশক ঔষধ। ব্যথানাশক ঔষধগুলোর অধিকাংশই NSAID ঘরানার। ন্যাপ্রোক্সেন প্লাসও NSAID, এটা এন্টিবায়োটিক নয়।

৩। আমরা যারা বাত ব্যথার রোগী দেখি, তাদের অনেককেই আমরা ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস জেনেরিকের ঔষধ প্রেসক্রাইভ করি, যদিও ব্র‍্যান্ড নাম বিভিন্ন রকম হয়। অনেক রোগী নিউজ দেখে কনফিউশনে পড়ছেন, এই ঔষধগুলো খাবেন কিনা। তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, আপনারা কোনো রকম কনফিউশন ছাড়াই প্রেসক্রিপশন ফলো করতে পারেন। শুধুমাত্র জেনিথ ফার্মার ন্যাপ্রোক্সেন প্লাসই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, অন্য কোনো কোম্পানিরটা নিষিদ্ধ করা হয় নাই।

৪। অনেক মানুষ, সাংবাদিক এবং আমাদের অনেক চিকিৎসকও মনে করেন, ডাক্তারদের উচিৎ জেনেরিক নেমে ঔষধগুলো প্রেসক্রাইব করা। অথচ এই জেনিথ ফার্মা নামক কোম্পানির সবগুলো ঔষধই জেনেরিক নেমে বাজারজাত করা। এরকম আরো কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড কোম্পানি আছে, যাদের সবগুলো ঔষধই নামহীন এবং সবগুলো ঔষধই জেনেরিক নামেই বাজারে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে জেনেরিক নামের প্রেসক্রিপশনে কাদের মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হবে খুব সহজেই আন্দাজ করা যায়।

লেখক :

ডা. শরীফ উদ্দিন

অর্থোপেডিক, ট্রমা ও স্পাইন সার্জন। 

আরও পড়ুন