Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


রক্ত টেস্টেই শনাক্ত হবে ৫০ ধরনের ক্যান্সার

Main Image

ক্যান্সারের উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৫ হাজার মানুষের তথ্য এ গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে


একবার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই শনাক্ত করা যাবে অন্তত ৫০ ধরনের ক্যান্সার। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) তত্ত্বাবধানে ক্যান্সার শনাক্তকরণ সংশ্লিষ্ট এক গবেষণার ফলাফলে এমন ইঙ্গিত মিলেছে। খবর বিবিসির।

গবেষকরা বলছেন, পরীক্ষাটি ব্যবহারে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ইতিবাচক এবং উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল দেখা গেছে। ক্যান্সারের উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৫ হাজার মানুষের তথ্য এ গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জনের দেহে ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। এ শনাক্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের শরীরে ক্যান্সারের অবস্থানও সঠিকভাবে জানা গেছে।

‘গ্যালেরি’ নামের ক্যান্সার শনাক্তের এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি ‘গ্রেইল’। এ পদ্ধতিতে ক্যান্সার কোষ থেকে বের হওয়া বিভিন্ন জেনেটিক কোডের বিটগুলো খুঁজে বের করা হয়। সেই জেনেটিক কোডের বিটগুলো থেকেই শনাক্ত হয় ক্যান্সারের উপস্থিতি ও ধরন। এ পদ্ধতিতে শুরুতেই ক্যান্সার শনাক্ত হলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।

প্রায়ই অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়াসহ ক্যান্সারের বিভিন্ন লক্ষণ নিয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে আসেন। এ গবেষণায় ক্যান্সারের উপসর্গ আছে এমন ৩৫০ রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছিল।

পরে স্ক্যান ও বায়োপসির মতো প্রচলিত পরীক্ষায় তাদের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশের রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি প্রচলিত পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশের রক্ত পরীক্ষার ফল ক্যান্সার নেগেটিভ এলেও প্রচলিত পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়ে।

এ প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক মার্ক মিডলটন বিবিসিকে বলেছেন, ‘পুরোপুরি সফল বলার জন্য এ ফলাফল যথেষ্ট না হলেও পদ্ধতিটি রোগীদের অনেক উপকার বয়ে আনবে। কারণ এ পরীক্ষার মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর ক্যান্সারের উৎস সঠিকভাবে শনাক্ত করা গেছে। কারণ আমাদের সামনে যখন রোগীরা আসেন তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না লক্ষণগুলো সত্যি ক্যান্সারের কি না।’

এ ফলাফলগুলো শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অনকোলোজি কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হবে এবং ল্যানসেটের অনকোলোজি জার্নালে প্রকাশিত হবে।

আরও পড়ুন