Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


স্বাস্থ্যের বাজেট ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা

Main Image

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য স্বাস্থ্যখাতে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা


২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য স্বাস্থ্যখাতে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের বাজেট বক্তৃতার লিখিত বিবরণ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। 

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। 

বাজেট উপস্থাপনকালে মুস্তফা কামাল জানান, স্বাস্থ্যখাতে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবা সম্প্রসারণ, অধিক সংখ্যায় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত ও সেবাগ্রহীতার ব্যক্তিগত ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে শিশু ও নবজাতকের সুরক্ষায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) চলমান রয়েছে । ১৯৮৫ সালে ইপিআই কভারেজ ছিল মাত্র ২ শতাংশ। বর্তমানে তা ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ১০৬টি উপজেলায় মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির (এসএসকে) আওতায় টাঙ্গাইল জেলার ১১টি উপজেলায় আন্তঃবিভাগীয় রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বেনিফিট প্যাকেজের অধীনে ৭৮টি নির্ধারিত রোগের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে।

মুস্তফা কামাল জানান, গ্রামীণ জনগণের কাছে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ১৪ হাজার ৩৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। ক্লিনিকগুলো সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্লিনিকের জন্য জমি প্রদানের এর ব্যবস্থাপনাতেও ভূমিকা রাখেন পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা। 

তিনি জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব সরকারের। এখানে মা, নবজাতক ও অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা (আইএমসিআই), প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা ছাড়াও পুষ্টিসেবা দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগ শনাক্ত এবং বয়স্ক, কিশোর-কিশোরী ও প্রতিবন্ধীদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয় কমিউনিটি ক্লিনিকে। 

অর্থমন্ত্রী জানান, এই ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও শিশুদের অনুপুষ্টিকণার প্যাকেট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনা পয়সায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৪০ জন সেবাপ্রার্থী সেবা গ্রহণ করে থাকেন, যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, বাংরাদেশে কমিউিনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। অতিসম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা : সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করারর বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে এ প্রস্তাবকে অবিস্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন