Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


প্রাণঘাতী ৩ রোগ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

Main Image

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)


প্রাণঘাতী তিনটি অসংক্রামক রোগ নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। রোগ ৩টি হলো - ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস। এই শতাব্দির মাঝামাঝি নাগাদ পৃথিবীর প্রায় ৮৬ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হবে অসংক্রামক রোগ। শুক্রবার (১৯ মে) সংস্থাটির বার্ষিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র : এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী ৩৩ কোটি ৭০ লাইফইয়ার (জীবন-বছর) নষ্ট হয়েছে। ভাইরাসটি শনাক্তের প্রথম দুবছরের মধ্যেই এটা ঘটেছে।  

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী তার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ডাব্লিউএইচও কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, মহামারিটিতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। তবে, বিশ্বাস করা হয় ভাইরাসটিতে প্রায় দুই কোটি মানুষ জীবন হারিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে মহামারি ভাইরাসটি কীভাবে সংকটের সৃষ্টি করেছে এবং এর প্রভাবে হঠাৎ করেই লাখ লাখ মানুষের জীবনকে সংক্ষিপ্ত করেছে, তা বলা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব এখনও সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের অগ্রগতি উপভোগ করছে। তবে, অসংক্রামক রোগ সৃষ্ট মৃত্যুর হার বেড়েছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক মোট মৃত্যুর ৬১ শতাংশ ছিল অসংক্রামকজনিত। ২০১৯ সালে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশ।ডাব্লিউএইচও’র আশঙ্কা- অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, এই শতকের মাঝামাঝি নাগাদ এটি দাঁড়াবে প্রায় ৮৬ শতাংশে।  

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর প্রথম দুই দশকে গোটা বিশ্ব মা ও শিশু স্বাস্থ্যে বেশ উন্নতি দেখেছে। এ সময়ে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমেছিল এক তৃতীয়াংশ। একইসঙ্গে এইচআইবি ভাইরাস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষার মতো রোগগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কমেছিল। এমনকি, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডি) মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে।

২০০০ সালে মানুষের বৈশ্বিক গড় আয়ু ছিল ৬৭ বছর। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির জন্য ২০১৯ সালে মানুষের গড় আয়ু গিয়ে ঠেকে ৭৩ বছরে। তবে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দেখা যায়। টিকাদানে বৈষম্যের চিত্র ফুটে ওঠে। আগের বছরগুলোতে ম্যালেরিয়া ও টিবি রোগের সংক্রামণ কমানোর দিক থেকে উন্নতি হলেও মহামারির পরে সেটি আবার পেছনের দিকে চলে যায় অর্থাৎ, অবস্থার অবনতি হয়।

আরও পড়ুন