Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


তীব্র দাবদাহের ৫ ভয়ানক পরিণতি!

Main Image

ডা. মো. জয়নাল আবেদীন টিটো


তিন মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। এরই মধ্যে সপ্তাহ দুয়েক প্রচণ্ড গরম পড়েছে। পানির অবস্থান পুকুরের তলায় ঠেকেছে। মাঠ ফেটে চৌচির।

বৃষ্টির অভাবে মাঠে ঘাস গজানো কমে গেছে। তৃণজাতীয় খাবারের অভাবে গরু-ছাগল শুকিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক ধরে যে তপ্ত হাওয়া ‘উপভোগ’ করছি, একে দাবদাহ তো বলছিই, লু হাওয়া বললেও অত্যুক্তি হবে না । এ দাবদাহের কয়েকটি পরিণতি আছে।

> আগাম পূর্বাভাস না দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

> ‘শুকনো পাতার নুপুর পায়ে বাজিছে ঘূর্ণি বায়/জল তরঙ্গে ঝিলিমিলি ঝিলিমিলি ঢেউ তুলে সে যায়’– এর বাস্তব রূপ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।

> বায়ুমণ্ডলের বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যাবে। তখন চারিদিক থেকে বাতাস এসে সে শূন্যস্থান পূরণ করবে। তৈরি হতে পারে সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস। কূল-উপকূল প্লাবিত হবে।

> প্রচণ্ড গরমের কারণে আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ের ওপর জমে থাকা বরফ গলবে। বরফগলা পানি পাহাড়ি ঢল হয়ে নেমে আসবে ভাটিতে। সেই ঢলে প্লাবিত হবে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। মাঠঘাট তো ডুববেই, ধানক্ষেত, বাদামক্ষেত তলিয়ে যাবে। অন্নাভাব দেখা দিতে পারে।

> প্রচণ্ড গরমের পরিণতিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। আসাম ও মেঘালয় থেকে আসা বৃষ্টির পানি আর আমাদের বৃষ্টির পানি মিলিত হয়ে বন্যা হতে পারে। লাখ লাখ একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

অতিবৃষ্টি না হয়ে চমৎকার বৃষ্টি হতে পারে। এ ধরণী আবার সুজলা-সুফলা হয়ে উঠবে। আকাশ ও পৃথিবীর মালিকের কাছে প্রার্থনা– যতটুকু বৃষ্টি মানবকূল ও পশুপাখির জন্য কল্যাণকর হবে, ততটুকুই যেন বৃষ্টি হয়।

লেখক: ডা. মো. জয়নাল আবেদীন টিটো
বিভাগীয় প্রধান, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান

আরও পড়ুন