Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা দেবে সৌদি অর্থায়নের ভাসমান হাসপাতাল

Main Image

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেবে সৌদি অর্থায়নের পাঁচটি ভাসমান হাসপাতাল


বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেবে সৌদি অর্থায়নের পাঁচটি ভাসমান হাসপাতাল। এর মধ্যে আসন্ন রমজানের পরপরই দুটি হাসপাতাল চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : আরব নিউজ।

খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌপথ পাড়ি দিয়ে ভাসমান হাসপাতালগুলো গরিব মানুষদের চিকিৎসাসেবা দেবে। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নামে নামকরণ করা হাসপাতালগুলোর অর্থায়ন করবে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রামের (কেএএপি) অধীনে থাকা ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক। ‍

বিগত ২০১৭ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির অধীনে ভাসমান হাসপাতালগুলো প্রাথমিকভাবে ফেন্ডশিপ নামের একটি এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এনজিওটি বাংলাদেশে ভাসমান হাসপাতাল চালিয়ে আসছে। চুক্তি অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জাহাজ নির্মাণ ও প্রথম পাঁচ বছরের অপারেশনবাবদ খরচ হবে প্রায় ২ কোটি ডলার। জাহাজগুলোর নাম হবে কিং আবদুল্লাহ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল (১-৫)। এরই মধ্যে দুটি জাহাজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রমজানের পরই এই দুটি চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, আমাদের লোকজন প্রস্তুত। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। সব কিছুই প্রস্তুত। আগামী জুন বা তার আগেই দুটি হাসপাতাল চালু হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ডে জাহাজগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয় আরব নিউজের প্রতিবেদনে।

প্রতিটি জাহাজে ৩০ জন ক্রু থাকবেন। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি থাকবেন চিকিৎসক। বাকিরা জাহাজ চালানো ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবেন। ডিউটি চলাকালীন সবাই জাহাজে তাদের আবাসিক কেবিনে থাকবেন।

জাহাজগুলো চলবে পদ্মা নদী, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সুনামগঞ্জের মেঘনা নদী এবং হাতিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বেশির ভাগ সময় পানির নিচে থাকে। প্রায় সময়ই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা দেখা যায়। এ সময় নৌপথে যাত্রা সহজ হয়।

আরও পড়ুন